লেখা, ফোটোগ্রাফি, পড়াশোনা, গ্রাফিক্স, কনসেপ্ট, সাজানো-গুছানো, কালেক্‌শন, থিম, ভিডিও মেকিং, কবিতা, ভিসুয়াল পোয়েত্রি, স্কেচ অ্যান্ড – লিমেরিক, প্রোজেক্ট প্ল্যানিং ও পারসেপশন | শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়

||
পিঁপড়ার গল্প 

পিঁপড়াটার তো কুনো মান ইজ্জত ছিল না! তার অপর আবার এখন শহরে হলদে হ্যালোজেন নেই বললেই চলেখুঁজলে ওই অনেকই ইয়ত্তার পর কয়েকটা খানেক জুটে যায়টটাই বাড়ীর রোয়াকের জমে থাকা শীতে হলদে হ্যালোজেনের কুয়াশায় ষড়যন্ত্র বোনে! আর প্যান্ট খুলে পেচ্ছাপ করেহলদে আলোর কুচক্র কুড়িয়ে লম্বা রাস্তা পেড়িয়ে ন্যাকা চাক্ষুস সাইকেলের চাকা পর্নমোচীত হ্য়ে বাড়ী ফিরতো শীত নামার আগে নয়তো কুয়াশা জড়ানোর তাড়া হুড়ায়
হ্যাঁ হলুদ হ্যালজেনের আলোতেই পিঁপড়াদের ভয় করে!!!
অনেক ভ্য় থাকলে ক্লাসরুমে আরণ্যকের বর্ণনার সময় টিচারের মুখ দিয়ে অনন্ত আদিবৃক্ষ ফুঁড়ে ওঠেমেঘাচ্ছন্ন কালচে ধূসর এক আকাশ, আদ্যপ্রান্ত মিলেমিশে যাওয়া পরিসরের মাঝে তীব্র আলো, আর আলো খান খান করে স্বচ্ছ মোহে ভরিয়ে তোলা চরাচর
এ আলোর চিত্রকল্প আঁকব এমনটা আর হয় কই গো নিমাই ঠাকুর!!! এমন বিশুয়াই বা কুথেক্কে পাইবার আশ রাখুম বল্ দেকিনি?
যতেক বার ভাবি চাইরপাশ থিইক্যা ওম্নি হৈ হৈ কইরা ছুইঢ্যা আসে দেখছি ভয়পিঁপড়ার ভয়ের কিন্তু এইবার এখন আর ডিমটুকুন টাও নাই
রোদের গুড়ার আবছায়া টেবিলে পড়লে গুড়া গুড়া ভ্য়কিন্তু ভ্য় দেখিবা মাত্রই তারা হাওয়াএ ঝড় বড় সুন্দরএর মায়া অসীমকেমন রোদপানা মুখ এক্সজস্টের ধূলায় কালিতে, ঘড়ঘড় ঘড়ঘড় যেন পিঁপড়ার পিপুল ওড়নাআহা! পতঝড়, আহা! পিপিলিকারহ না না রহ তো, পিছলে পড়লে মিহি মিহি ভ্য়, রোদ পড়লে আবার কেমন পাশুটে মতো ত্যাছড়া ত্যাছড়া ভয় আর ভয়জাত আতপ ধূপের যুগলবন্দী
ওগো ঘুলঘুলি!!
অ্যাভানগার্দ
মাঝদুপুর
রোদেলা পরাবাস্তব
আয় চাঁদ, আয় পিদ্দিম, আয়রে এলোকেশী
পাতায় ভাসছে নদীর স্রোত, স্রোতের পিঁপড়া
লাগাতার হাতদুই পিঁপড়ায় হাপিস


 Rubaiyat's Moulder

    Pulverulent

    Cyclostyle

Dulcimer

সান্ধ্যভাষীর শূন্য পুরাণ
সক্কাল সক্কাল জিভটা বেড়িয়ে পড়েছে মুখ থেকে
জিভ কিছুতেই আমার কথা শুনছে না
সে থাকে তার মর্জিমাফিক
হরদম আমাকেই চলতে হয় জিভের ইচ্ছায়
দুপুরের ঘুম থেকে উঠে রঞ্জাবতী ভাবলেন তিনি হাঁটতে যাবেন
অমনি জিভ, মুখ বেয়ে নেমে সোজা গেট খুলে রাস্তায়

 ...And Those Manes

ভাবনা প্রবাহ হইতে

অধুনা শিবরাম অবধি আর বিষয়টি না গড়ালেও চলেযা দিনকালএকটা দূর্গোৎসবই যথেষ্ট নতুবা নিদেনপক্ষে একটা সরস্বতীলক্ষ্মী-টক্ষ্মী নিলে আবার অন্য দিকে ঝক্কি, তিনি
মা চপলা- অধিষ্টান করেন কি করেন না তাই নিয়েই বিস্তর ধ্যাণধ্যারণা, ওদিকে রয়েছে
মিঁয়াও বেড়াল, যার কিনা আবার মধ্যরাতে ঘুমো পায়তো এহেন পরিস্থিতিতে এই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা একান্তই প্রয়োজনীয় ও নির্বিকল্প সমাধিতে না যাওয়ার অন্যতম পন্থাও বটেনতুবা সামাজিক চুক্তির যা দাপট যা দেখা যাচ্ছে চরাচরে তো হৃদকম্প একেবারেই হালহাকিকতের তয়াক্কা না করে, যাকে বলে ল্যাজে-গোবব্রে-খেচেরের দলে, দলা পাকিয়ে হদ্য বেমানানএমতাবস্থায় যখন মোরগ ডাকছে হাতিমতাই, আমি দিন রাত ঘাড় গুজে, মাথা গুজে দলছুটদের জন্য দলের বাইরে থেক্কেও ওদের ওয়েবের জন্য ম্যাগের পাতায় ভাবনা আঁকতে কঙ্গণা রানায়ত স্টাইলেউরিব্বাস, তাই তো , এ তো সেই চিরায়ত কুইনাইন হিতে কুইন!!!
ওওওওইই ওই তুস্সী যা রাহে হ!!! তুস্সী  না যাও… …
কে দিল আভি ভরা নেহী



জাহাপনা … … … জাহাপনা  তোফা কবুল করোওওওও… … …



The White Lotus: Dark Lady of Muladhar


 A Gift to the Inexorable Mariolatry


সংবদ্ধতা


পলাশ দেফুঁ
আয়না উলটিয়ে দিলে
তখন চিরুনি তোমার কেউ না,


মুক্তধারা
ভৈরবপন্থীর প্রবেশ

তিমিরহৃদবিদারণ
জ্বলদাগ্নিনিদারুণ
মরুশ্মশানসঞ্চ
       শংকর শংকর!
বজ্রঘোষবাণী
রুদ্র শূলপাণি
মৃত্যুসিন্ধুসন্তর
       শংকর শংকর!



পুনর্জন্মান্ধ /  ৎ সৎখ্যায়ন / তন্ময় ধর

থ 
জল ভর সুন্দরী কইন্যা জলে দিছ ঢেউ
হাসিমুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ।।
কোথায় পাব কলসী কইন্যা কথায় পাব দড়ী
তুমি হও গহীন গাঙ আমি ডুইব্যা মরি।।

এই তোএকটু বৃষ্টিইঅকাল
স্বাদ জল। টান টান করে দিই তোকে
নাভিতন্তুতে পাখি। আবার অর্ধপ্রাণ রোদ্দুর
দুধের সঙ্গে আর একটু চিনি নিবি কি?


… … … … …
যখন নীল ঝড়
থেমে গেল অন্ধকার
নেমে আসার পর
জন্মদিনেআত্মপরিচয়

একটি ছবির জন্ম / ফেদেরিকো ফেলিনি
কোন ছবিকে ঠিক কথা দিয়ে বর্ণনা করা যায় না। এ নিয়ে যদি কথা বলা যায়তাহলে সে হবে তাকে নেহাতই প্রাকৃত বাস্তবের খাঁচায় পুরে ফেলার চেষ্টা। যার সঙ্গে ছবির কোন সম্পর্ক নেইযদি কোন ছবিযারা তা দেখতে যাচ্ছেতাদের বাচনিক রূপচ্ছবি থেকে জন্ম নেয়তাহলে তা জন্মাবে পূর্বগঠিত আবস্থায়যা তার স্বভাবপ্রকৃতির বাইরের জিনশ। তাছাড়াআমি নিজেই  ঠিক জানি না যে আমি যা করতে চাইতার সঙ্গে এর কোন সাদৃশ্য আছে কিনাআপাতত আমি তা নিজের ভেতর গোপন করে রেখেছিবলা যায় তাকে একটা গোপন বস্তুতে পরিণত করেছি


ডাকনাম  ৯

সংক্রমিত হাসিগুলি পড়াচ্ছে
সাজো সাজো রব কেমন             মাধবীতানে
গীত বিতান মাখছে
দিনদুপুর      রাতদুপুর

গন্তব্যহীন একটা হেঁটে যাওয়া
তার গোপন থেকে
তুলে নিচ্ছি অমূলক ভয়             আসমাপ্ত লং মার্চ

গড়ানো ঢাল বেয়ে
উঠে আসা এপ্রিল
সাজান প্রেক্ষাগৃহ
তাহাকে ঘিরিয়া
গোখরো নাচ                প্রাচীন মোহর ঝমঝম  



ধ্রিয়ান / সব্যসাচী
শিশুগুলো একটা করে বলিহারি রাখে আর বালিয়াড়ি চাপা দেয়
শিশুগুলো বলে না রমাদের কথা
শুধু দু-প্রস্থ বেগুন দানা রম রম করে        রোমানিয়া হয়
আরাম লাগে রান্নায়,
বায়ু প্রবাহের দিকে তাক করে প্রাণ ছুঁড়ে দাও
অবস্থানে পাল্টে যাবে প্রাণীদের নাম
প্রজনন যথেষ্ট নয়
ধ্রিয়ান দেখলে সমাধি ভুলে যাইধলকায় চারদিকধকল চমকায়
চলন্ত সমু ঘটমান অব্যয়
পাল্টে নেয় চটকের দেশে

ভূতের ছায়া / কবিতা পাল


ভূত বলে যে কিছু একটা আছে আমার বন্ধুরা কেউ বিশবাস করে না। আমি কিন্তু জোর গলায় বলতে পারব না যে আমি ভূতে বিশ্বাস করি না। তেনাদের নাকি অবাধ গতি। যদি আসপাশে থেকে থাকে। ওনারা যে আছেন তা জানান দেওয়ার জন্যআমাকে অন্ধকারে একা পেয়ে যদি ভয় দেখায় বা দেখা দেয় ত--না বাবা নাএসব ভূত-টুত ব্যাপারে আমি নেই। ভূতে বিশ্বাস-অবশ্বাস-বিতর্কের পাশ কাটানোই ভাল। ছোটবেলাটা কেটেছে পাহাড়ে চা-বাগানেতখন আমার অনেক নেপালী বন্ধু ছিলওরা খুব ভূত বিশ্বাস ক রত ও ভূতের পূজোও করত। ওদের বিশ্বাসটা আমার সত্যি বলেই মনে হত



দ্বিতীয় জন্মের পর / নাম দিতে নেই / অমিত দে


খুশির রোয়াক পেরিয়ে এসেছি আজ
ঘর জুড়েই তীক্ষ্ণ আলো
বাইকে সাই করে নাহয়
একটু সাই সাই
তারপর কিছুটা গড়িয়ে যাওয়া
তলিয়ে যাওয়া

যতটা দূর যাবে সাথে সাথে

মেহগনি ছায়া সারিয়ে তুলবে অসুখ
শুধু বলবো তোমার
ঐ চোখের কালো চাই



পাখি / রিমি দে / নরম পুতুল


টিউশনির পাশাপাশি প-এর পার্টটাইম রাজনীতি-র মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে চাকরি এবং হাই প্রোফাইল ব্যস্ত জীবনভি আর এস নিয়ে ক কবিতায় ফুল টাইমার-কেও নাটকের হোল টাইমার বলা যেতে পারে। প্রত্যেকেরই চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে অন্তত ঘন্টাখানেক আবেগ ভরা কর্তব্য জীবন আছে। সে সময়ে হয়ত কারো আকাশ নীলকারো বা আবছা নীল থাকে। প্রত্যেকের নীলগাছে কখনও না কখনও দোয়েল গান গায়। নাগরিক গাছ। এগাছ বেড়ে ওঠে মুঠোফোনে। কখনও পক এবং ন সে গাছে নাচে। লেজ নাড়ে। দয়েল হয়। ঠোঁটে ঠোঁটে ঠোক্করের খেলা করে



মায়া / রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর / সেঁজুতি


করেছিনু যত সুরের সাধন
নতুন গানে
খসে পড়ে তার স্মৃতির বাঁধন
আলগা টানে
পুরানো অতীতে শেষে মিলে যায়-
বেড়ায় ঘুরে,
প্রেতের মতন জাগায় রাত্রি
মায়ার সুরে

ধরা নাহি দেয় কন্ঠ এড়ায়
যে সুরখানি
স্বপ্নগহনে লুকিয়ে বেড়ায়
তাহার বাণী
বুকের কাঁপনে নীরবে দোলে সে
ভিতর-পানে,
মায়ার রাগিনী ধবনিয়া তোলে সে
সকল খানে

(শান্তিনিকেতনঅক্টোবর ১৯৩৭)



বালিকার গোল্লাছুট / তসলিমা নাসরিন

আমরা বালিকারা যে খেলাটি খেলব বলে পৃথিবীতে বিকেল নামত
সে খেলার নাম গোল্লাছুট
সারা মাঠ জুড়ে বিষম হৈ চৈ-
সেই নিশ্চিদ্র আনন্দ থেকে
গড়িয়ে গড়িয়ে কবেই এসেছি শতচ্ছিন্ন দুঃখের ছায়ায়,
মনে নেইমনে নেই কোন দল কোন দিকে ছোটে,
কাকে ছুঁলে হ্য় নিখাদ বিজ্য়!
বালিকারা এখনো কি খেলে হাওয়ায় উড়িয়ে চুল গোল্লাছুট খেলা?

আমার আবার ইচ্ছে করে খেলি
এখনো মাঝে মধ্যে আঁকুপাঁকু করে পায়ের আঙুল
ধুলোয় ডুবতে চায় গোপন গোড়ালি
ইচ্ছে করেযাই
পৃথিবীর সকল বয়স্ক বালিকা দিই গোল্লা থেকে ছুট

ঋণ স্বীকার
। চিলির রূপকথা – জলধর মল্লিক
। লালন সমগ্র – আবুল আহসান চৌধুরী
। ডুয়িং জেন্ডারডুয়িং জিওগ্রাফি – কুন্তলা লাহিড়ী দত্ত
। এতদাঞ্চলে পরিচ্ছন্ন পদ্ধতিপন্থী কৃষ্ণা আলিয়াস দর্শনাকে খূঁজে না পাওয়ার খামতির পরিবর্তেসৌজন্ন্যতা- www.এক্স ভিডিওকম
। ফেবরিজিও এম ফেররারী|
|

Comments

Post a Comment