২১ শে - কবিতা সংখ্যা - পর্ব ১১




মোহ(কবিতা)
||


|

দাস্তাইয়েভস্কির প্রতি - অনুপম মুখোপাধ্যায়

সিনেমাথাকছেলেখক থাকছেন
নাউপন্যাস থাকছে পরিচালক
থাকছেন না
মোটর বাইকের আয়না
চকচক করছে
হেলমেটের ভিতরে
ফর্সা মহিলারা শেকলবাঁধা ইঞ্জিনের রং
ঘুরে ফিরে দেখছেন আর
কাটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটট্
অপরাধ নেই শাস্তি নেইদাস্তাইয়েভস্কি
ঝকঝক করছেন ব্রেসঁর সিনেমায়ব্রেসঁ
ঝলমল করছেন পুলিশ ফাঁড়ির সামনে
‘আর তুমি... অনার্য তুমি’
স্টার্ট নিচ্ছি হেলমেট খুলেপিছনের পাহাড়
আমার চোখে পড়ছে নাচোখে পড়ছে না
মেয়েদের ট্র্যাফিক আর
আভাঁ গার্দ খাবারের নুনঝালটক
সোনালি হরিণ আছে সোনালি
হরিণী আছেসোনালি ...
দোষ ... গুণ ... এবং
মেঘলা গহনা আছে
এইসব আছে ঢের জানি আমি অন্য কোনোখানে রৌদ্রাভ
কাবেরীর মতো তারা নয়
ফিমেল ন্যুড... ফিমেল ন্যুড...
আমার বাইক লোকাল, আর
ধর্মের ষাঁড়... কাটটটটটটটট্
ব্যাসদেব চড় মারছেন অম্বালিকার গালে। অম্বিকা
ন্যাংটো হচ্ছেনপ্লেন থেকে বোমা বেরনোর
সাদাকালো সিনে
আমার এই তো কেমন
পটি পাচ্ছে মিশকিন
এই... তোমার
চোখদুটোকে কাছ থেকে ধরো
|





|বুম - সূর্যস্নাত বসু
একটা বেলুন প্রয়োজন,
                            বাউন্ডুলে বেলুন ।

এ সভ্যতার মতই উড়তে পারে, নাচতে পারে,
গাইতে পারে , বলতে পারে, লিখতে পারে,
                         কখনও বা ফাটতেও পারে ।

একটা আলপিন প্রয়োজন

নিজেকে প্রকাশ করতে চাই ।|





|ভুক্তভুগী - নন্দিনী
যে কপালের কালি নিয়ে অবিরত 
প্রসব যন্ত্রনার যান্ত্রিক যাপনে
একের পর এক নষ্ট শিশুর প্রলাপ নিয়ে
উন্মাদনায় মাতে, 
তাকে তোমরা কবি বলে ঠাট্টা কোরো না আর।
জানি,
নৌকোগুলো কাগজের না হলে,বহুদূর যেত।|





|ভাষা দিবসের কবিতা - পার্থ বসু

ওই বাংলায় রাষ্ট্রভাষা
এখানে কোণঠাসা
হাত গুটিয়ে বসে থাকবো ?
দিচ্ছে না মনটা সায়

পূর্বপুরুষ , পিতারা
জবাব দেবেন দেশটা ভাঙার
এতোই ছিল কি তাড়া ?

ভাগ করলেন মা-কে
কি বলছেন ? পদ্মা গেছে
গঙ্গা দেন নি তাকে ?

নাক কাটলেন নিজের,
গেয়ে যাচ্ছেন অহো--
যে গান অহরহ

গঙ্গা পায় নি ভাগের মা
ভাগের মা কি আগের মা ?

এক বাঙালী , দু দেশ
পুষ্টি এবং পরম্পরা
একই মায়ের দুধে

মাতৃভাষা  দিবস
ব্যর্থযদি না বুঝি তা
এবং থাকি বিবশ |





|মাতা প্রজাপতি - শুভ্রদীপ রায়

সরিয়ে নাও তোমার সে অভিমানী বুক
আমি আদিগন্তবিস্তৃত বাঁচতে চাই
আদিম উচ্ছ্বাস আমারও বেশী বই কম নেই
তবু কেমন যেন তালগোল পাকানো বুদ্ধির মত

সমস্ত হাসপাতাল জুড়ে মৃত্যুর ভিড়
আমি রোগতপ্ত যীশু-জন্ম ভোগ করি
সঙ্কেত ছেড়ে ব্যাখ্যায় আসি কদাচিৎ
তবু সাবেক ভালোলাগায় আসতে পারিনা

মাথা ঠেকে যায় পাতালদ্বারে
তবু কিসের যেন উদ্বোধনী শুনি
ধ্বন্যাত্মক শিরশিরানি সবার নাভিগর্ভে
আমার শুধু মৃত্যু বুঝতে দিন যায়

ভ্রু পল্লবের মাঝে যখন গনগনে সূর্য ওঠে
চাঁদও তো ডুবছে দ্যাখো বোতাম আঁটা কোন বুকে
কোন কবিরাজ ওষুধ দিল আমার হৃদঝোরায়,
স্নায়ুসুন্দর তাই বুঝি আচ্ছন্ন ভালবাসায়...

নতুন আকাশ গড়ছি দ্যাখো, সে এক মস্ত আকাশ
তোমার প্রতিটি অভিমান-প্রজাপতি পাখিজন্ম নিক
তাদের ডানা বেয়ে আসুক ভোরের মিছিল
একটি কালো প্রজাপতি আমার খাতায় বসুক...|
||

Comments