ঘুম বরাবর | সন্তু ঘোষ
|(১)
এখন আমার “তুমি” পেলে
আমি দ্বিপ্রহরে দেখা চড়াইটার কথা ভাবব
আমাদের খুঁটে খাওয়া রোদ্দুরকে বালিশের পাশে রেখে
সাজানো টেবিলের কথা ভাবব
জানি, তারপর দু-চোখে গভীর ঘুম নেমে আসার আগে
আমার মনে পড়বে
সাজানো বইয়ের পাশে ছবি হয়ে থাকা কোনও এক কলসপত্রীর কথা
যার খাদ্যতালিকায় রাখা আছে
আমি ও আমাদের কিছু সারেগামাপা
এখন আমার “তুমি” পেলে
পাহারায় মৃত পোকাদের রাখব আমাকে জাগিয়ে দেবার স্বপ্নে।
(২)
ঘুমের ভিতরে কলাবতী পাতা ঝুঁকে আছে
ফলন্ত আমগাছ বরাবর
যে মেয়েটি রেলিঙের রঙচটা শিক থেকে খুলে নিয়েছিল
বিকেলের উগ্র প্রসাধন আর চুড়ির আওয়াজ
জানি, সে এখন ভেজা চুড়িদার পরে উঠে আসবে দোতলায়
আমি ছাড়া আর কি কেউ খবর রাখবে সেই অসময়োচিত চন্দ্রোদয়ের?
লুকিয়ে ফুলের পাশে হাঁটু মুড়ে বসে আছে
আমাদের পরিচিত মালী
তার পাশ দিয়ে প্রতিদিন ধীরে হেঁটে চলে যায় ধূসর বিড়াল
তার কাঁধ বেয়ে প্রতিদিন একান্ত উজ্জ্বল নেমে আসে কিছু অধিকার বোধ
আমি খুঁজি – সেও খোঁজে কোনও এক নিদ্রাবিহীন চকোলেট
যার অভিমান থেকে পোকা ঝরে গেলে
আমাদের কুড়েঘর ছায়া পাবে আর স্বপ্নরা ফিরিয়ে দেবে অস্তিত্বের দালান।
(৩)
প্রহরী-পোশাকের নির্দিষ্ট বদলের মতো
সাইকেলে জমে থাকা তাড়া-তাড়া চিঠিরাও বদলে-বদলে গিয়ে
কাচের দরজা ঠেলে ঢুকে পড়ে অভিজাত এলাকায়।
‘পরনে ঢাকাই শাড়ি’ সে এক অপরাজিতা
টেলিফোনে ছড়িয়ে দেয় শীততপনিয়ন্ত্রিত হাসিমুখ
ঘুম, তুমি আমাকে ফিরিয়ে দাও সেই দুরন্ত বালকমুখ
যার ডায়েরিতে লেখা ছিল, “গাড়ির চাকার থেকে রোদ টুকে নিয়ে
একদিন কংক্রীট হব”!
|
|
আহা অনবদ্য
ReplyDeleteআহা অনবদ্য
ReplyDelete