যেহেতু ডায়রি লিখি না | আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়
|
(১) সে তো বেঁকে যাবেই, যেভাবে বেঁকে গেছিল রাস্তা মেঘের সাফল্য দেখে… এসব রাস্তা পথ ছিল না, রোদ ছিল তুমি এক বারান্দা উৎকন্ঠা নিয়ে দড়িতে ঝুলছ আজ জানতে পারলাম তোমায় আলাদা না কাচলে নাকি রঙ ওঠে আলাদা না টাঙালে টব উলটে দাও রেলিঙের (২) এই যে রাস্তা, প্রতিটা পরীক্ষার শেষে পথ হয়ে যেত! যখন তোমাদের স্কুলভ্যান আমায় টেনে নিয়ে গেছে পেছন পেছন লাল পাড়, বিনুনি চুল আর মাঝে মাঝে বুধবারগুলো ফ্যাকাসে হয়ে যেত মুখখানা এমন রক্তপাতে প্রেমপত্র ঔষধি নয়! (৩) চায়ের গেলাস থেকে ভেসে ওঠা কুয়াশা সমেত সেই দু’টো চোখ, আর যারা একটু বেশি আগে বড় হয়ে গেছে মোচর বলতে আমি কেঁদে ফেলা বুঝেছি তখনও আবেগ বলতে তুমি মায়ের থাপ্পড় বা ঠাকুমার শাড়ি পড়া নিলে... (৪) প্রথম প্রতিশ্রুতি কাউকে বোলো না প্রিয়া এভাবে ছন্দ ছন্দ খেলা কত দিঘি পার হয়ে ডাঙা জল ভাঙা জল এসব ক্লাসের শেষে আঁজলায় কেলি নিয়ে গঙ্গার নিকটে গিয়েছিলে (৫) রুমি কিন্তু বড় হচ্ছে, মনে আছে, ঝগড়া থেকে শোনা পাশের বাড়ি তো কী? কান পাতলেই তারা কেমন আপন মনে হয় কাকীমাকে বলেছে সকলে ‘ওসব জিনিস আর রাস্তায় ফেলোনা, কুকুর বিড়ালে ছিঁড়ে খায়’ আমি তো কুকুরও চিনি রুমিদেরও বেশ কিছুদিন বুঝতে পারি না তাই কাকে বা থামাই! (৬) ডায়রি লিখি না আর ট্রামেও যাপন নেই কোনো মরবার পূর্বাভাস এখনও আসেনি ছেপে আগামী হপ্তা হবে পেতে। এসব দিনের শেষে আমারও ছোট্ট মেয়ে ঘাটে এসে দাঁড়াবে নীরবে আমি তার হাত থেকে গামছাটি নিয়ে তাকে তর্পণের মর্ম শোনাবো ওহে প্রিয়া এবারও ক্ষরণ এলে মনে মনে অঞ্জলি দেব। | |
বাহ দারুণ লাগলো।
ReplyDelete