মা বিষয়ক প্রেমিকা বিষয়ক | সুভান
১. মা, যত দীর্ঘশ্বাস ফেলে যাচ্ছি ততই স্খলিত হচ্ছি আয়ু থেকে… এখন প্রেম আসার আগে তুমি আসো, এখন বান্ধবী শব্দটা ভুল বলে মনে হয়… প্রিয় নারী মায়ের মতোই রঙ নিয়ে আসে গায়, তার স্তনে মুখ রাখতেই খুলে যায় শূন্যউদ্যান… কিংবা পর্দার ঘর, মাতৃসঙ্গম… আঙুল নয়… ঠোঁট নয়… নাভিমূল থেকে গুঁড়ো গুঁড়ো ভেঙে চুরে মিশে যেতে যেতে পুনরায় যোনীস্থ হয়ে যাচ্ছি… যেন পলাশের রঙ জড়িয়ে ফিরে যাচ্ছি অনন্ত নিদ্রায়… এই মুহূর্তে মৃত্যু নিয়ে লেখা হচ্ছে নিঃস্তব্ধতা… বড়জোর... কিছুটা অন্তর জন্মঘরের ভেতরে সাপলুডো খেলতে খেলতে পাশবালিশ ক্লান্ত হয়ে এলে জন্ম নিচ্ছি আমি বা সমজাতীয় আলো বা অন্ধকার… যেন আদিম জরায়ুর নিচে… বিশাল ঝিল কিংবা অদূরে… খুব গভীর আকাশ থেকে প্রবেশ করেই চলেছি… ভ্রূণ স্বত্তায়… সাঁতার, পুনশ্চ ভেসে যাওয়া আশ্চর্য উড়ান… ক্রমশ আলোর দিকে ছুটে যাচ্ছি… আমি… জন্মজন্মাতর… মা, অবিনশ্বর হতে চাইনা… ২. ছায়া-ছায়া বলে উঁচুতম মেয়েলি অন্ধকার, জরায়ুর ভার পাথরের দিকে নেমে গেছে নিচু হয়ে আসা যোনিপথ হয়ে গুঁড়ো গুঁড়ো অভ্রের দাগ জল হয়ে ভাসে পারাপার আর কিশোরীজন্ম ঝিনুকতুল্য হাসে... হাসি, জলখেলায় ভরে ওঠে কি নরমঘর... নূপুরশব্দ, আদরমল্লার, কচিঘাস আর বলিরেখা বরাবর... |
Comments
Post a Comment