মৃ গা ঙ্ক শে খ র গ ঙ্গো পা ধ্যা য় - ছায়া পড়লো




Weekly-Editionভাস্কর চক্রবর্তী

সমস্ত রান্নাঘর শীতঘুমে পড়ে আছে;
                                      মায়ের অসুখ।
কুণ্ডলি পাকিয়ে কোন ঘুমন্ত পাইথন,
ঢুকে আছে উনুনের পেটে;

ঘুম ভাঙ্গলেই গিলতে আসবে গোটা সংসার!

বাড়ন্ত শব্দটার কোন ওষুধ নেই...

বিজ্ঞাপনে উঠে গেছে...! বাচ্চাদেরও আগে!

বাবাকে দেখলে ভাবি, ডাক্তারের ব্যাগ বয়ে
কুঁজো হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।
নাকি ঝুঁকে দেখতে চায়
খাদ আরো কতটা গভীর
মায়ের সোনার হাড়ে, কামড়ে কামড়ে
তারই তো হিসেব করে সোনার দাঁতেরা।
তারপর অঙ্ক করে এমন এক সংখ্যা বসায়...
বন্ধক বসাতে হয় শূন্যের আগে।
লজ্জা পেয়ে বাড়ি ফেরে না বাবার ম্যাথের গোল্ড মেডেল।
-”চুরি গেছে!”

হঠাৎ মনে পড়ে, রবীন্দ্রনাথও তো  একজন বাবা।


সম্পাদকের ঘরে গিয়ে মোরগ লড়াই
আর পাতি পোষাচ্ছে না।
তার চেয়ে কমোডে বসে
দু চার খানি কবিতার লাইন...! আহা!
কোচিং-য়ে পড়তে আসা নতুন মেয়ের মতো লাগে।

কারণ ভালোলাগা দুটোয় কোন ভণ্ডামি নেই।


‘দেখতে দেখতে শ্রাবণমাস এসে গেল আরেকবার’

এখন আর শ্রাবণ মানেই বৃষ্টিপাত নয়;
বরং বালতি বালতি জল ধরে রাখা।
এ শহর দু এক দিনেই মরুভূমি হয়ে যাবে।
প্রায়-ই এখন মরীচিকা দেখা যায় ;
আমি যেমন দেখতে পাই ছেলে-মেয়েদের -
“বিদেশ থেকে ফিরলি কবে?” জানতে চাই
পরিষেবা জানান দেয়- “... not answering the call”


রাস্তার মাতাল সেজে এখন আর ঘুরতে হয় না
রাস্তাটাই মাতাল হয়ে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে যায় রোজ

এখন সম্রাট ব’লে আমাকে ছায়ায় ছোঁড়ে যারা
তাদের গায়েও কিন্তু আমারই ছায়া লেগে আছে

Comments