মেহেরাব ইফতি




 

কয়েকটি সাম্প্রতিক কবিতা ১ 

যদিও সিগারেট পোড়ালেই দূরে সরে যাও
কটু গন্ধ সহ্য হয় না? হাঁটুতে মুখ লুকিয়ে অভিশাপ দাও;
যা জানি নিবিড় বিশ্লেষণে।
তবুও, কপালে হাত বোলাও; দুইয়ের নামতা গুণে।
আমি কি পাতক?
ক্রমে-ক্রমে সংযমের সহিত দূরে সরে যাই
প্রত্যাখ্যাত হবার জেরে, অনুশীলন হায়;
কদাচিৎ বিগলিত হয়ে অনলে দুহাত জ্বালাই।
রেসের ঘোড়াও একদিন ফুরিয়ে যায়;

মোহিনী, কেনো যাও মন্মথের কাছে?
আমারো তো শান্তশিষ্ট দুবাহু আছে?

তবে, আমি কি পাতক?



শ্লোগান

দেখেছি পিঁপড়া সকল দলে দলে হাঁটে, বাউল দর্শন ফিরে ত্রিবেণীর ঘাটে
মদ্যপ প্রেমিক যখন হয়ে যায় চুর, প্রেমিকার শীৎকারে রয় না কসুর
এইসব চিরন্তন, সন্ত দাঁড়কাক জানে
ছন্দবদ্ধ কবিতার ক্ষুধার্ত মানে।
অথচ,
তুমি যে প্রেমিকের পড়েছিলে প্রেমে, কখনো দেয়নি শ্লোগান মিছিলে ঘেমে
তাও কেনো ভালোবাসো, বুকপকেটে রাখো হলুদ খাম?
তোমার অবহেলায় পুড়ে যায়, গোটা বসন্তপুর গ্রাম।




বাস্তবতা, এক খাদের দিকে এগিয়ে যাওয়া

নিছক কোন কবিতা বলে একে ভাববেন না। এটি গল্প। মূলতঃ
রূপক লোকগল্প। কবিতার মধ্যে কবিতা নয় - ভারী অলংকারের বোঝা। স্বনামধন্য
একটি যাত্রীবাহী বাস ছুটে চলেছে বাস্তব অভিজ্ঞতায়-
গন্তব্য
, চালক যে কিনা ড্রাইভিং সিটে কুংফু-কোদাকুদিতে ব্যস্ত (যেহেতু সে বহু রাত কাটিয়েছে চুর হয়ে),
সে ছাড়া অন্য কোন ঈশ্বরও জানে না। প্রায় বাধ্য করেই
যাত্রীদের উঠানো হয়েছে স্বনামধন্য বাসে যেন বিজয় শকট চলছে
বেহেড মাতাল!

প্যাসেঞ্জারদের নানান প্রশ্ন
: 
হচ্ছেটা কি এসব?’
এটা গুণদার গাধার দেশেনাকি?’
আমাদের গন্তব্য জনাব?’
আমার পেশাবের বেগ পেয়েছে। বাঞ্চোত, বাসটা থামা?’

চালক, যিনি বাসের বর্তমান ঈশ্বর, নির্বিকার ভঙ্গিতে যাত্রীদের
কমেন্টস পানের রসসমেত ক্যোঁৎ করে গিলে নিলেন! বিজলি থেকে গ্যাস সব হজমসাধ্য!
করায়ত্ত করেছেন বিডিআর জওয়ানদের সুঠামদেহ
,
প্রিয় বাক্ স্বাধীনতা
, টোকাইর খিস্তি করার অধিকার,
কবরস্থান কমিটি নির্বাচনের বিরোধী প্রতিপক্ষ
,
বাস্তবতা
, এক খাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাস-
চালক বলছেন
: যাত্রীদের পূর্ণ ইচ্ছের প্রতিফলন!
যাত্রীরা
: চালক-ই ঈশ্বর!

গণতন্ত্রের ছদ্মবেশে বাস
ভোটের রূপক হিসেবে নিরপেক্ষ প্যাসেঞ্জার
চালক
, যিনি বর্তমানে ঈশ্বরের পদে নিয়োজিত
তিনি শুয়োরপ্রজ শাসক।


গবর্নমেন্ট, অব দ্য বালুর ট্রাক
বাই দ্য বালুর ট্রাক
ফর দ্য বালুর ট্রা
ক।

Comments