নৈরিৎ ইমু





শুদ্ধ সঙ্গম

তবু এই শব্দসমূহ মন্ত্রে পুরে আমি সম্মোহন জাগাচ্ছি। সাক্ষ্য দিচ্ছি সঙ্গমকালীন সময়ে মগজে আমার অন্য নারী ছিলো না। ফলে এক ও অদ্বিতীয় সত্তা জেগেছে তার চলন বাঁকার বিপরীতে। সে এক উন্মুক্ত বিচরণে ব্যভিচারী শিৎকার প্রিয় মনে হয়। কসম সুদৃশ্য অঙ্গত্রিভূজের, এই উত্তম প্রক্ষালন শেষে আমি কখনোই বলতে চাই না ধুর মাগী আর চুদবো না।



ধারকান

গুহার নাম হেরা। গায়েবী এক শব্দ এলো। পড়, তোমার প্রভুর নামে। প্রভু? আমি ফিরে যাচ্ছি। আমিই তো, ভয়ে। আমার ভেতরে শুধুই সে প্রকম্পিত শব্দ। পড়, প্রভুর নামে। গুরুভারে তারপ্রস্ফুটিত হলো ক্ষমতার জ্বর। যার কোল আগলে রেখেছে আমায় রাতভর, তার বুক আরও শব্দতাণ্ডব হয়ে বলছেশোন, তোমার উমাকে।



রমণ

মস্তিষ্ক থেকে ছুড়ে ফেলি দেবতার ধারণা। জেনে শুনে কালীর সাথে রাত্রিযাপনের পররক্তবমি করা মাগীটারেই ভালোবেসে ফেলি। বহু মসৃণ যোনীপথ আমি দেখেছি। কামরস অপেক্ষা প্রকৃত কোন মদ নেই। তবু প্রচন্ড আক্রোশ নিয়ে নিয়মিত ঝেড়ে ফেলতে চাই বিষবীর্য। পান করি লিথুনিয়ান, চিৎ হয়ে শুয়ে শুয়ে আমিও ভগবান সাজি। মনের দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে কারো খোলাস্তনের পাঠানো ছবি।

Comments