হাসান রোবায়েত



 
রসায়ন

বাড়ি ফুরোলেই বাবা চিঠি লেখেন
প্রাক্তন প্রেমিকাকে এ নিয়ে মার কোনো অভিযোগ নেই
মা
, চুল বাঁধতে তেলের কাছে জমা দেন
সমস্ত দুপুর। কেটলিতে পোড়া ঘাম
ঘর জুড়ে দেশলাই-বিকেল


আঙিনায় ভেজা শাড়ি হেঁটে গেলে শিউরে ওঠে ধান!




কখনো রোশনি আক্তার

কোনো এক খাদের থেকে নেমে আসা
এই সন্ধ্যায়
এই ঘূর্ণিপাকের নিচে
পানি অথবা পানিরই প্রতিবিম্বে অনেক সিলভার
ভেসে যায় আমর্ম-হ্রেষায়

সমুদ্রফেণায় শুধু ঘুঙুর
শুধু ভারী হয় যুদ্ধপ্রস্তাবের ছায়া

কারা যেন রোশনি আক্তার ফেলে যায় রোদে!
আরূঢ়
, অর্থময় হে তুমি
রেণুর ভেতরে গিয়ে উড়ে আসো বধিরতা
, ধর্মান্তরিত কাঁটাবন
সবুজ ফ্যালাসির পাশে দাঁড়িয়ে
কখনো নোঙর করো ধাতু
কৃষিরসায়ন ফেলে চলে যাও
যেখানে ঝরাপাতা নিজের শব্দে বন!
তুমিও সংকেত ফেলে রাখো দূরে
, পুরনো পেশায়
যেন সন্ততির অপূর্ণ মসৃণ ক্ষারে
রেখে দেয় মুখ
লিভারের হাতলে করে এই রাত উড়ে যায়
স্থিতি-ব্রোঞ্জের দিকে
তবু পিতার স্বভাব থেকে ফুল কেন প্রতিফলনেই বসন্ত হয় বারবার!
মানুষ এখনো যেতে চায় ফাঁকা সেই ঘরটির কাছে





পাতা

পাতা, তুমি কার কথা বলো! এই যে অগ্রহায়ণ! স্রোতে মাছ ভেসে যায়;
উপরে কুকুর বসে একা দেখে জিভের দু পাশে মাছরাঙা পাখিদের ওড়া দ্রুত
ঢেকেছে পাতায়। কারা আজ মৌন আয়াতের নিচে জেগে থাকা রাত্রিকেশর
নিস্তব্ধে পাঠিয়েছে হাওয়ায় তাদের শব্দ শুধু ক্রুর হতে হতে অরণ্যের হিম.
আলেয়ায় মেশে সহস্র কাঞ্চন-রোদে তবু সন্তাপ ধ্বনিত হয় সারাদিন পিতার
নক্ষত্র ভরা গানে—


এই মুখ বারবার কাঁপে দূরের বাতাসে যেন অভিজ্ঞান ধুলোর অযোগ্য তাই
পায়ে হাঁটা পথ চিরকাল ফিরে যায় অজ্ঞাতে। যে চোখ শব্দ নয় হেমন্তের
সেখানে অসংখ্য ফুটে আছে কামরাঙা ফুল। শিরাসহ উড়ে যাও পাতা
নিঃসঙ্গতার দিকে—



Comments