শাহ মাইদুল ইসলাম




 
করতালি
এই করতালি, আঘাতও 
বৃত্তদলকিশোরী অপার অপার
মুখআলো হয়ে পটকার মতো ফুটছে, 
শব্দ
ত্রাসগোলাপের মতো ফুটছে

কোন সব হলুদ বাঘিনী, লাগছে
ভেতরে ও বাহিরে
ওখানে ও এখানে, তারা গোল হয়ে 
ঘুরে ঘুরে বাজছে, ঘুরে ঘুরে বাজছে


ঘোড়া ও প্রাচীর বিষয়ক
একটা ঘোড়া ও একটা প্রাচীরে ততটুকু ব্যবধান ঘোড়া ও প্রাচীরের
ব্যবধান যতটুকু

এছাড়া তারা একই বস্তুবিশ্বে দৃশ্যমান
যেন

একটা ঘোড়া একটা প্রাচীর ডিঙ্গায় না
একটা প্রাচীর একটা ঘোড়া ডিঙ্গায় না
—— 
ঘোড়া ও প্রাচীরেরে কেন বেছে নেয়া এই প্রশ্ন জোয়াড়ের তোড়ে পাড়ে উড়ে আসতেছে
নিকশ সবুজের বন থেকে কত কি এমনি এড়ায়ে যেতে শিখে গেছি শিশুসূলভ মন লয়ে
যত ঘুম হয়েছে যত আরো হবে কেউ কেন তা জিজ্ঞেস করবে
কত পেরিয়ে গেছি কাকে কাকে আটকে দিয়েছি সে হিসেবে কিবা যায় আসে
মাকড়সা থেকে মানুষ কে না ফাঁদের চর্চা করে থাকে
মাকড়সা থেকে মানুষ কে না ফাঁদ কেটে শিকারের পলায়ন দেখে মর্মাহত হয়
মাকড়সা থেকে মানুষ সকলেই নিজের নিজের পলায়নে তবু গর্ববোধ করে থাকে
——
বড় দুই প্রাচীর ঊষা আর সন্ধ্যা এক অপরকে না হনন করেই গ্রাস করে
ঊষা আর সন্ধ্যায়

অথচ একটা কমলা একটা মানুষ একটা ঈগল শুকিয়ে একশেষ হয়
অথচ একটা প্রাচীর একটা প্রাচীর একটা প্রাচীর দাঁড়িয়ে ঠায় ঘোড়াচল দৃশ্য উপভোগ করে
থাকে
না করে হনন ঊষা আর সন্ধ্যা

ঊষা আর সন্ধ্যা পার করে
——
জানোয়ার জন্মে বেড়ে ওঠে জাগরণে জাগে ঘুমে ঘুমায় মরে যায়
মরে যায়
যার তার নিবিষ্ঠ কুঠুরীতে থেকে
ফাঁকতালে অনেকে দৌড়োয় যখন
ঘোড়দৌড় ঈষৎ বিশিষ্ট বলে আলাদা করে চেনা হয়

ঘোড়া এর বেশি কিছু নয়, কম কিছু নয়


হলুদ বন
কারো দিকে নয় এমনভাবে ছুটে আসে হলুদবন তোমার বা আমার বা কোন তৃতীয়জনের দিকে নয় এমনভাবে ছুটে আসে হলুদবন, অথচ আমাদের দিকে নয়

তুমুল হলুদ ফুটছে, তুমুল বাক্যাবলী হচ্ছে বিনিময় ফুটন্ত হলুদ নিজের সম্পর্কে প্রচুর বলছে প্রচুর বলে বলে হলুদ হলুদতর হচ্ছে

বন হলুদের ছবি, একটা উত্তম শৈলী আমরা ধারণা করি, বুঝে গেছি ছবিতে কেন হলুদ রঙ, কেনই বা তা হলুদ বন? ছবিতে এই ছবির উপস্থিতি, হলুদের উপস্থিতি আমাদের স্বস্তি দেবে নাকি!
——
এখানে গাছে ডোরাকাটা হয়, বাঘ হয় বাঘবন ও বনগাছ মিলে ছত্রখান হয় এক শরীরি হয় তবু একনাম

একজনই এখানে ডোরাকাটা ছবি আঁকে একটা বাঘই ভয়ানক দেখে সুদৃশ্য হাঁক ছাড়ে এক অপরেরে ডিঙ্গোতে থাকে অবিশ্রাম ফের এক আঁচড়ে মিলেমিশে খুন
——
চিরকাল ভরে সবুজই বন! বোনেরা ও আমার মৃত বোনেরা অন্তর্হিত হয় এর দিকে মুখ বাড়িয়েহয়ে যাই একটা নিঃসঙ্গ ঘর ঘিরে ঘোর প্লাবনের মতো বন বেড়ে চলছে দরজার মুখে অসীম সংখ্যক বোনেরা কখন এসে দাঁড়ালে! তাদের গায়ের কাঁচা হলুদের রঙ এই বিস্ময়ের বনে...

প্রচুর হলুদ ডুবো জাহাজ হয়ে গেলে কেউ গ্রাহ্য করে না তারা হলুদ প্রচুর জাহাজ ডুবো হলুদে ভরে গেলে কেউ গ্রাহ্য করে না তারা হলুদ তারা এক একজন জাহাজী বন প্রয়োজনে ভুস করে ভাসে
——
আমাদের প্রয়োজন ছিল একত্রে গোল হয়ে বসা আমাদের প্রয়োজন ছিল গোল হয়ে একত্রে বসা অথচ আমরা একজনের পর একজন হয়ে পান করি রক্তবর্ণ চা চতুর্থ মুখ দেখা হয় না

আমাদের প্রয়োজন ছিল প্রথম মাদক ছুঁয়ে দেয়া প্রথমবারের মতো মন্দের ভাল হওয়া প্রথম তরঙ্গের ঘাড়ে চড়ে বাঘবনে যাওয়া প্রচুর ডুবে যেয়ে ভেসে ভাসবার জুয়া ধরা

কেননা আমরাই বাঘ, আমরা বন, প্রচুর হলুদের জাহাজ আমরা 

Comments