রিয়াজ মাহমুদ
আনুশা
মেহরিন
মেহরিন,
পলকা
দেহ নিয়া ঝড়োবাতাসেরদিন হয়ো
আর না বাহির,
ঘরেতে
থাকো আজ,
খিচুড়ি
পাকাও একপাতিল,জনৈক
আবহাওয়াবিদ দুপুরে আসছেন
খেতে,ক্ষুধায়
তিনি কাহিল।
মেহরিন,এই
রাজকীয় নাম কে রাখছে তোমার?
যদি
জানত থাকবা এমন গরিবি হালতে,টালবা
শুকনো মরিচভর্তা।
কইত, আহা! কী নিষ্ঠুর রসিকতা! মাঝির বউ তুমি ভুলে যাইয়ো না, নদীর সাথে বিরোধ তাঁর উত্তাল দামোদরে যাতায়াত নয়কো মঙ্গলের। ভীষণ বিপদে এখনো সে ঢাকার জনস্রোতে, বাঁচার কসরত করে, ডুবে আর জল খায়, ডুবে ডুবে.. ডুবে যায়। মোনাজাত করো বউ, বউ গো, অন্ধমানুষের মত সামনে প্রচুর খানাখন্দ।
সহনীয়
অসুখে
বিচূর্ণ
তুষের পরে রিফিউজি আগুন,
দাউদাউ
জ্বলছে,
হুইলের
ভেতর যৌনসুড়সুড়িমূলক গান
চলছে,
প্লুতগতিতে
টানছে মেঘ,
মল্লার।
বেদবাক্যতুল্য পবিত্র হাতে, আমার বউ, আমাদের স্পর্শকাতর স্পর্শদের রটিয়ে দিচ্ছে পুকুরময় প্ল্যাঙ্কটনে, কীটের গ্যারাজে। যে অস্ফুট-শিশুর বইয়ে আজও পৌঁছায়নি কীটনাশকের জিঘাংসা,তার স্বচ্ছ পায়ে মজেছে তৈলাক্ত জলের খেলা। গোটাপায়ে কুৎসিত সব তৈলচিত্র ফোটার দিন প্রভূত খল, ভোকাল ও ঝিরঝিরে বন্ধ হয়েছে বায়ুমণ্ডল, দ্যুতিঋণ কেঁদেছ আমার বউ, চন্দ্রবিন্দুহীন।
যন্ত্রণা
যেহেতু মানবদেহে খুলে বসে
লঙ্গরখানা।
মালগাড়ি
স্ত্রীলোকগুলো
যৌনযন্ত্র হিশেবে কিংবদন্তী।
|মেয়েমানুষের মত অত রক্তপাত হয় না, সহিংসতা লাগে না; বেডকভার নোংরা করে না। স্ত্রীলোকেদের শায়া উঁচিয়ে কর্ম সাধন করা যায়, মেয়েমানুষের বেলায় থাকে সাধন হারাবার ভয়। আমি একজন স্ত্রীলোকের ললাট পছন্দ করি; সে বন্দরনগরীর মাল, তাঁর ভেতরে রাঢ়িখাল।
|
|| সূচীপত্র
|
|
Comments
Post a Comment