রাতুল রাহা
মধ্যাহ্নে
সন্ধ্যার উদয়
সময়ে
বার্তা পাঠালাম, তবু কেন অভিমান করো, ও হাওয়া
হলুদ ফুলের মত মরসুম ভরা সোনা রঙে কতো যে মাধুর্য, মোহ, ভাবনার সাযুজ্য তোমার ওই মুখে তামাটে তোমার মুখ, বিস্তীর্ণ চিন্তার বিভা প্রকাশিত এখানে ফড়িঙ ওড়ে, তুলোবীজ ওড়ে। পাতা ঝরবার শব্দে লিখলাম—'আকাশে বেদনাগুলো মেঘ হয়ে ভাসে'
মধ্যাহ্ন
গান বেজে ওঠে আর তোমাদের ওই পাড়াগাঁয়ে
সাপের খোলস ছেড়ে বের হওয়া গ্রাম্যকিশোরী যায় স্নানে — দূরের হুইসেল শুনে, সচকিত হয় কিভাবে হাতের রেখা ম্লান হয়, সে প্রসঙ্গে কিছুকাল ভাবি আর গুমোট বাতাস চিঁড়ে বৈধব্য রাগ শোনা গেলে চোখ খুলে দেখি, ঘনীভূত হতে হতে মধ্যাহ্নে সন্ধ্যার উদয়
বরফযুগ
এখানে
নিরালা শ্বেতপাথর বেদীর উপর
তোমার বসে থাকা ধ্যানভঙ্গির মত। পরাগত পাখিদের দেখো সমুদ্রের শান্ত ঢেউ, আসমানে ভাঙা মেঘ, লুপ্ত সূর্যের প্যারাসল—
তোমার
স্তিমিত চোখে কেবলই বিস্ময়
ধ'রে রাখো। একশো ঘোড়ায় টানা রথ স্মৃতি থেকে বয়ে নিয়ে আসে — প্যালিওলিথিক সংসার।
সন্ধ্যা
ঘনায়ে এলে সহসা বরফযুগ নামে
পৃথিবী আনত হয়ে আসে আজ এই বালিয়াড়ি জুড়ে
পৃথিবীর মাঝখানে
ডানদিকে
যাই। ডানদিক শুভ নয়, ওইদিকে যেওনা পরাণ
বামদিকে যাই। ওদিকে ক্ষতের স্মৃতি, যেও না দোহাই ওইদিকে সামনে এগুবো ভেবে পা বাড়াই, পা তো নড়ে না পিছনে যাওয়ার চেষ্টা করি, দেখি আমার সমস্ত দেহখানা অবশ আর স্থির হয়ে আছে যেন কঠিন পাথর আমার পাথর দেহ নিয়ে আমি পৃথিবীর মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছি
|
|| সূচীপত্র
|
|
Comments
Post a Comment