২১ শে কবিতা সংখ্যার রিভিউ (১ম-৫ম পর্ব) - সিয়ামুল হায়াত সৈকত




রিভিউ
 


কবিতায় হয় পূর্ণ অনুভব। বৃষ্টির আগমনে মেঘেদের কাছে যেমন সুখী গল্পের গান। হ্যাঁ, পাঠ করলাম দলছুটের কবিতা সংখ্যার প্রথম পাঁচটি পর্বঃ ছোট্ট একটা রিভিউও লিখে ফেললাম। সুপাঠ্য লেখুনি আর মতামতের উর্ধ্বে কবিতায় হোলো প্রেম-মানবতার জয়গান। শুরুতেই ‘তুমি গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে আছ’ কিংবা ‘চৌত্রিশ সাইজের ব্লাউজের মাপে মাপে চাওয়া’ ক্ষুদ্রতর অনুভূতি কবি যশোধরা রায় চৌধুরীর বিরাট কিছু বলা। এরপর প্রকৃতির ছোঁয়া পাই কবি বীরান ঘোষালের কবিতায়, বিক্ষুব্ধ প্রেমও হতে পারে। ছুটে এলো মলয় রায়চৌধুরীর—


‘অমরত্ব অমরত্ব ! অবন্তিকা,
বাদবাকি সবকিছু ভুলে গিয়ে
আমার চিঠির বার্তা তাড়াতাড়ি উদ্ধার
করে তুই আমাকে জানাস’, জানা হোলো না। এরপর কুমারীর নিঃসঙ্গতা ছুঁয়ে, জীবনের মোড় বলতে এই ইশারা বলতে এই নাম-না-জানা পাতা তার
নাম-না-জানা গাছ’ পেড়িয়ে যাই। জুড়ে বসে এত উঁচু পাঁচিল, টপকাতে পারছি না আমি কিংবা ঈশিতা ভাদুড়ীর কবিতায়। রঞ্জন মিত্র আমায় পথঘাট চিনিয়ে লাপাত্তা আর উমাপদ? তিনি চোরাবালির ফিউচার নিয়ে মুক্তির জয়গান বুনছেন। বিকেলের গন্ধে সুবীর কিংবা বেইজক্যাম্পের জটলা পাকানো আর্তনাদ আষিকের কবিতায় ছুটে আসে। ইদ্রাণী তো অসুখের গান লিখে মাগো মুক্তি দাও, ঈশিতা খুব একটা সুখে নেই তাও বুঝলাম—কবিতায় নিশ্চয়ই। প্রেমের আগুনে পুড়ছে আমি
দীর্ঘনিঃশ্বাসের সঙ্গে বেচে দিতে পারিনি বলেই , রোজ একটু একটু করে তোমার অষ্টসখীদের ডিঙিয়ে অমঙ্গলের আশঙ্কাতেই পথ খুঁজেছিলাম স্রোতস্বিনীর দ্বোল। এরপর একঘেয়ে আমাবস্যা কিংবা ইন্দ্রনীলের রেডিও সংকেতে তৃতীয় পর্বের সমাপ্তি ঘটে। আঁকাবুকি কিংবা বাস্তবতা চিনিয়ে কোথাও একটা চলে যেতে ইচ্ছে করে , রোজ...পালিয়ে বেড়ানোর ইচ্ছেরা জয়দীপের খোঁজাখুঁজিতে ‘লম্বা লাইন একই ভাবে চলা এক পা এক পা করে’ চলে যায়। রঙ্গীত মিত্র খুঁজে বেড়ান মহিলা পাঠিকাগণদের, অর্জুনের মৌমাছির পালক,পাখিদের রঙ্গে বিসর্গ টেনে চতুর্থ পর্বের ইতি।


বৃষ্টিপাত, স্নান, আলো , দুপুরের কাচ?
কখনও কখনও আমিভুল করে
তোমাকেও গাছ বলে সম্ভাষণ করি!—তুমি কি ভাবো?আমি নই শৌভের কথা। এরপর উল্কার করা প্রচ্ছদ কি এইও বইমেলায় দেখেছি?আচ্ছা কবি কি প্রচ্ছদ শিল্পীও? এরপর অন্তর পুড়ে আসমা কিংবা শব্দের অন্ত্যমিল খুঁজতে গিয়ে ভ্যাবাচ্যাকা হই কবিতায়। দুর্বা সরকার সুখ কিংবা উদ্বিগ্নতায় আমাকে রাজনীতিতে বুদ করে দিয়ে আমার পঞ্চম পর্ব পাঠে কবিতা পাঠের শেষ এনে দেন…
 |

Comments