মোহ ১১ - কবিতা পর্ব - ১
মোহ(কবিতা)
|আমার মৃত্যুতে - সৈয়দ সাইফুর রহমান
আমার অকাল মৃত্যুতে।|
আমার অকাল মৃত্যুতে চার কাঁধ ভারী হয়
পূণ্য লভীদের!
আমার মৃত্যুতে ভিটে মাটি মুখর
অভ্যস্ত কত জোড়া কাঁদুনি লাল চোখে।
আমার মৃত্যুতে--
' মরা খেকো ভোজ ' খেয়ে যায়
প্রানের আত্মীয় ও বন্ধুরা।
আমার অকাল মৃত্যুতে
হয়ত বা
আমার যুবতী বিধবা স্ত্রীর
পুনঃবিবাহের ছাদনাতলায়
মুখরোচক ফিসফাসে
পাত পেড়ে খেয়ে যাবে
পূণ্যলোভী বন্ধু ও আত্মীয় রা!
নয়ত বা
আমার ছোট্ট কন্যা সন্তান
গল্প শুনবে,
তার অপদার্থ পিতার
মৃত্যু পরবর্তী মহনীয়তার।
|উচ্ছন্নে যাওয়া কবিকে বসন্তের - সুপ্রিয় মিত্র
ভেবেছিল সঙ্গ দেবে
বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার এই তো উচিত বয়স ;
সবার সামনে শেকল হবে হাত
ভুল ভাঙে... আড়াল হয়, ও হয় অসম্মত।
মুখ এমন লাল ক'রে দাঁড়িয়ে পড়ে যেন
অক্ষত জাহ্নবী তার, ঋতু ফেলে এসেছে হেমন্তের কাছে
হেমন্ত থমকে গেছে, শীত আর আসেনা
অথচ কেবলই ভুল ভাঙে,
যত কাছে আসি আরও, আরও জড়োসড়ো হই
এবং ভুলের আকাশ ভেঙে বাজ পড়ে স্থবির মাথায়,
মানতে চাইনি... মেনে নিতে বাধ্য করে কেউ-
এই শহরে বৃষ্টি কেবল... বৃষ্টি বারোমাসই
একজন্মে অবনী বা সন্ত ছিলাম
অন্যজন্মে কট্টর ভাবে বসন্তে বিশ্বাসী!| |সন্দিহান - সায়ন্তন সাহা
প্রেমিকার সাথে সহবাস হয়নি কয়েক যুগ
অসংখ্য ঘুড়ির দিকে তাকিয়ে কেটে যায় সময়...
ইমন রাগ ছেড়ে -অসুখের মত তীব্র ডাকনাম ,খালি গা, বন্ধ চোখ-
খুব রোগা তুই বলে ঘন হত সন্ধ্যের স্নান..
চোখের সন্ধানে ফুটপাথ, আমি তোকেই দেখেছি মেয়ে
সারা সন্ধে মদ খেয়ে যে মানুষ বাড়ি ফেরে
তার নাকি চরিত্র খারাপ
অথচ ঋতুস্রাবে ঠাকুরের কাছে যেতে দেয় নি যারা
তাদের দলেই ভিড়ে গেলে...| |শ্যামকথা - মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায়
(পুজো, ২০১১)
১
আমার ঘুমের দেহ
ছুঁয়ে রেখো
দশমাস
দশদিন .
#
অল্প অল্প রোদ দিও-
বৃষ্টি দিও মেপে মেপে মেঘ.
শিকড়ে বিনুনি বেঁধে-
নাম দিও আদুরে আরেক.
এভাবে অষ্টতর শত ...
২
একদিন জতুগৃহে
কারা যেন মারলো পুড়িয়ে...
গায়ে লাগলো আগুনের নীল.
#
এতদিনে দৃষ্টি ফিরে পেয়ে
দেখি মাগো আমারই জঠরে
সহমরণের পথে তুমি!
রয়েছ ঘুমিয়ে!
৩
এরপর নিষাদ এসে
ছিঁড়ে দেবে শিকড়ের সুতো -
মানতের গিট খুলে -
খসে পড়বে ঢিল পৃথিবীতে
#
...খইয়ের ছড়ান দিতে দিতে
কাক ডাকছ তিন তলার ছাদে
ক্রমশই এলার্মের মত...
ঘুমহীন কবিতার পর
অতএব ভোর হয়ে গেল| |মস্তিষ্ক, সরীসৃপ এবং ১৮০ ডিগ্রি - মোনালিসা
ফুল, গাছ বা কাটারি চিহ্নে
আমি ভোট দেবনা;
যদি দেখি কোনো মানুষ প্রার্থী,
তাহলেই দিতে যাব।
মানুষের চর্মজাত চাদরের চেনের আড়ালে
সরীসৃপ দেখলে NOTA সম্বল...
শুনেই বেজায় চটে
বন্ধু (?) বলে, ১৮ হলেও
ভোট দেওয়ার যোগ্যতা অর্জনে
এখনো ৩৬ বছর দুনিয়া জানা চাই;
তাও প্লেনের গতিতে, আলোর গতিপথে।
কারন, মস্তিষ্ক বিগড়ে
উলটো পথে চলতে চলতে আমি নাকি
মাইনাস ১৮ তে পৌঁছেছি...|
Comments
Post a Comment