মোহ ১২ - পর্ব ১


- সম্পাদনাঃ অনুপম মুখোপাধ্যায়
|
অগোচরের চিঠিতে - অভিষেক ঘোষ

জানলা বন্ধ ছিল। তাও তো বাইরে দেখা যায় আবছা আলোয় বসুন্ধরা।
মনের ভিতর আছে …নিভে যাওয়া সন্ধ্যায় দুলুনি মেয়ের ইতিহাস পড়া।
আমারও কি কো নইতিহাস আছে আদৌ?
আমি বুঝি ভিজে থাকা চিঠির আকুলিবিকুলি ভাষা …?
তুমি খুলে দেখছ নদী …
কিন্তু আমার ভালবাসা?
তাকে বুঝি দেখতে নেই...শুধু রেখে যেতে হয় দিনের পর দিন…
খুলতে নেই... 
বুঝতে নেই…
কেবল রাখতে হয় অভ্যন্তরীণ।
পাছে কেউ দেখে ফেললে অভিশাপ দেয়…তাই তুমিও রেখেছ সব অগচরে...
আমি কাউকে কাউকে বলে ফেলছি আজ......তবে সত্যি বলছি 
আর কোনদিনও বলব না এর পরে।।
|
|
অ নির্দেশ - বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

একটি বিন্দু  ।  ওইপাশে  আরও একবিন্দু
  ছুটে যাচ্ছে  পথ
রে ...খা  বলে ডাকবে      ডাকো   
বাঁশি বাজছে 
ইমারজেন্সি...... বিপদসংকেত 

র        লেখার আগেই
শেষ হয়ে যাচ্ছে দুপুর।

এভাবেই  দু এক কলি গান 
এক আধটা সিকি আধুলি
ভিখারির আত্মপ্রতিকৃতি   
আর উৎসবের কিছু খোলস ...

~

অলীক বাইপাস - বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায় 

নীরবতা  
     থাবা      বসে আছে 

ইঁদুর সম্বন্ধীয় কিছু লেখা
কুটিকুটি    সন্দেহভাজনেষু   

আড়ালের বাঁদিকে বনপথ
সুতো ভুলানো   ঘুড়ি   উ   ড়  ছে 

অলীক বাইপাস 
হাতড়ে যাচ্ছি ক্রমাগত।
|
|
ভাঙা আর ভাঙার মাঝে... - জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়

কাঁচের ওপারে সাজানো স্তূতি, প্রদর্শনী... বাহুল্য মূল্যরাশী। সাধ্যের সীমানায় কাঁচ... সীমাবদ্ধতা। হাতের নাগাল যেই শেষ হয়... কাঁচ। ভ্রুভঙ্গ... তৃভঙ্গ... ভাঙছে... ভেঙেই চলেছে মুদ্রায় মুদ্রায়। শ্রীরাধিকার থেকে বেশি জ্বরের কাঁপুনি, আয়ানের রোম কূপে কূপে। কাঁচের এপার থেকে ভঙ্গলীলা দেখি ঘনশ্যাম। মনে মনে হিসেব করি পদার্থ চেনার অভ্যেসে... প্রশ্ন তুলি, কুয়ো থেকে দড়ি টেনে টেনে - কি কি যেন ভাঙে? দশটা বুলডোজারের দায়িত্ব দিলেও আমার দ্বারা অপারেশন সানশাইন হবে কি না... ভাবতে ভাবতেই এক সারি পিঁপড়ের রেজিমেণ্ট চলে যায়। মসৃণ শরীর বেয়েও অবলীলায় রেখা হয়ে যায়। সারিবদ্ধ জীব দেখি... আয়নায় আয়নায়... চোখের তারায় তারায়... নিজেকে দেখে নিই অভ্যেসে, আলগোছে। আমি থেকে গেছি আমি-তেই। কাঁচের এপার থেকে, রাত থেকে রাত... আসা-যাওয়া পথে দেখা পরিচিত দেওয়ালের দাগ। রেখে যাওয়া চিহ্নের ভিড়। পাতা ঝরা পথের কিনারে বসন্তসেনাদের বিষণ্ণ হাসি। হাসি... কাঁচ... প্রতিবিম্ব... তৃভঙ্গ... কিছু একটা পছন্দ করে তুলে নিয়ে ঠোঁটে, উড়ে গেছি একা চিল ছাতে। সমস্ত রাত, খুঁজে গেছি তারায় তারায়... কতটা পুড়লে তবে, রাত পাবে জীবনের আঁচ। কতটা তীক্ষ্ণ বাণে কাঁচ ভাঙে নিষাদের ক্ষোভ। রাত ডাকে... রাত আসে... রাত কেটে যায়। পাক খেতে খেতে বসি একা চিল ছাতে। কাঁচের ওপার থেকে একই ভাবে এই 'আমি' দেখে... তুমি ভাবো - কি কি যেন ভাঙে?
|
|
ঈশ্বর ও সমর্পণ - মৌমিতা

মাছ ভাতের এই শহরে-
অদ্ভুত গোঙানি উঠে আসছে সবুজ চোখে,
অসহায় হয়ে পড়ছি
অর্চিষ্মান..
পরতে পরতে ডুকরে গেছে-
হেরে যাওয়া সুখ

নোনা কস্তুরী পেরিয়ে ঝাপসা কাঁচে,
ছিটেফোঁটা ঘোর অন্যায়-
অনাবিল হাসিতে ঝাঁপ দিয়েছে বেপথে..
নির্বাচিত কবিতা সব-
দগদগে আগুন.. 

আর কি বলি..
অনন্ত ভঙ্গিমায় জেগে থাকে যে পুরুষ,
লক্ষ্য লক্ষ্য উন্নয়নের ছেঁড়া শূন্যতা-
সেই পারে এনে দিতে।

সত্যি নয়..

শেষবার তবু নতজানু হবে ঐশ্বরিক প্রচেষ্টায়
শেষবার এনে দেবো বিশ্বাস-
জিন্স পাঞ্জাবীর তরুন ঈশ্বর কে।।
|
|
নষ্ট কবিতা - নীলাব্জ চক্রবর্তী

রূপ
রীক্ষার গায়ে পিছলে তুতলে প প করছে
নাভির মাখন
আর বর্গ বর্ণ পেরিয়ে
ঘুম থেকে ওঠা
নষ্ট কবিতার শরীরে
তখনো লেগে স্বপ্নের আঠা আঠা
শুধু জুড়ে দেওয়ার দৃশ্যগুলো
অন্য পাতায়
কিছুতেই ওভারল্যাপ করছে না তখন
কয়লার ঝিকমিক নিয়ে
ওয়াগন টিপলার ফ্লোর
একা একাই ঘুরে যাচ্ছে
কারো বুকের মাপে
বড়ো হচ্ছে বিকেলের নতুন লাইনিং
|




মোহ(কবিতা)

Comments