২১ শে - কবিতা সংখ্যা - পর্ব ৬
মোহ(কবিতা)
|বসন্তমঙ্গলের দিনে - রাজর্ষি মজুমদার
কেউ বাজানো শুরু করল,
আলোচ্য থেকে সরে গেলাম আমরা।
বিভিন্ন সুর শুরু হলে
পাতলা হাওয়ায় রেণু ভেসে আসে -
গোটা সপ্তক ভেসে আসে গ্রামে।
ইরম তুমি এখন এখানে -
তিরি তিরি মাষ কলাই দানা
বিহা বিহা ক্ষেত।
আর বসে থেকে থেকে,
একটা উঠোনের -
শুধু উঠোনে পড়ে থাকা
শুরু হয়ে গেল।|
|রেখেছ রঙীন পাতা - প্রশান্ত সরকার
"রেখেছ রঙীন পাতা, শব্দটুকু রঙীনে রেখেছ-"
আমি তার নীল তুলে আনি, গোপনে তুমুল কিছু কাঁটা
সহজ অভ্যেসে যেন বয়ানমুখর, কিছু সনাতন শ্লোক
অনর্গল, পাথরের বুক ভেঙে নানাবিধ রঙের অনুপ্রাস
যেন কোনো শব্দ নেই তেমন কোথাও, এমন শব্দহীন
ছায়ার উপাচারহীন, গাছের সন্ধান যা কিনা সস্নেহে রেখেছ
নির্জনে, আর রেখেছ রঙীন পাতা, আহতের সমূহ বিন্যাস|
|বিদায় যশোর রোড - প্রজ্ঞাদীপা হালদার[১]
প্রতিভা প্রেস
আমাদের সঙ্গীহীন দুপুর-পাখিটি
ডেকে যাচ্ছে মিথ্যেমিথ্যি ।
ডেকে যাচ্ছে মফঃস্বল গান ,
উপচে পড়চে কলতলা ,রোদ্দুর-
স্নানে উপচে পড়া বড় ক্লিশে
উপমা সকল,
রৌদ্রময় একটানা গাছের ভিতরে
গুমরে মরছে বাড়ি ।
যেটুকু মফঃস্বল পার হলে ভয় শুরু ফের,
সেটুকু এখানেই ফেলে যেতে
পারি।
[২]
মনমোহিনী গার্লস
রাস্তায় বেজে উঠেছে বুড়োটে
ভায়োলিন,
ব্যালাড ছড়িয়ে যাচ্ছে আমাদেরও খাতার পাতায়।
ওদিকে বাইরে রোদ , উজানী হাওয়ায়
ভেসে যাচ্ছে প্রিয় নাম,
চেনা চেনা চিঠি,
ভেসে যাচ্ছে আমাদের দ্বিতীয় পৃথিবী।
বেজে যাচ্ছে ভায়োলিন
আমাদের পুর'নো টাউনে,
আর কিছু যা যা বাকি
সে সমস্ত প্রেমিকেরা জানে।
[৩]
ক্যাম্প –ফায়ার
আমাদের প্রত্যেক জনপদ ঘিরে
মুছে যাচ্ছে শীতের বিকেল,
আমাদের প্রান্ত-সন্ধ্যায় বাতি জ্বালছে নিজস্ব বিহার।
আমাদের অবিশুদ্ধ শঙ্খ-ভাণ্ডারে
জমে উঠছে স্মৃতি-বৃদ্ধ আঁচ
ধোঁয়াটুকু জমে যাচ্ছে চশমার কাঁচে
গড়াচ্ছে পেয়ালা নিরন্তর
পুষ্পসার, সাবেকী আহ্লাদে
গ্রীবা পকড়্কে উঠে আসছে গান
সন্ধ্যের টীউশনি শেষে
রতিক্লান্ত ভঙ্গিমায়
দিদিমণি এপথেই বাড়ি ফিরে যান।
[৪] রাধাকান্ত জীউ
ঠাকুরও সন্ধ্যেয় শেতল পেয়েছেন।
বারান্দায় গড়াগড়ি মেজবউ-শাশুড়ি সংলাপ।
সমুদ্র চল্কে আসা অসম্ভব ঢেউ ভাসিয়ে নিচ্ছে
আমাদের পচা মফঃস্বল
চায়ের দোকানে বাড়ছে ভিড়।
বাসস্টপে থমকে থাকা পরিযায়ী কেউ
আমাদের বলে যাচ্ছে অবাধ-সোহাগে
পাশাপাশি শুয়ে আছে মরুভূমি-মাটি
অন্ধবালিকা তার কোমল নিখাদে
মাখছে কৃষ্ণচূড়া, এ’ষার আযান ।
যশোর রোড পার হচ্ছে উটের কাফিলা,
যশোর রোডে হেঁটে যাচ্ছে চেঙ্গিস খান।|
প্রতিভা প্রেস
আমাদের সঙ্গীহীন দুপুর-পাখিটি
ডেকে যাচ্ছে মিথ্যেমিথ্যি ।
ডেকে যাচ্ছে মফঃস্বল গান ,
উপচে পড়চে কলতলা ,রোদ্দুর-
স্নানে উপচে পড়া বড় ক্লিশে
উপমা সকল,
রৌদ্রময় একটানা গাছের ভিতরে
গুমরে মরছে বাড়ি ।
যেটুকু মফঃস্বল পার হলে ভয় শুরু ফের,
সেটুকু এখানেই ফেলে যেতে
পারি।
[২]
মনমোহিনী গার্লস
রাস্তায় বেজে উঠেছে বুড়োটে
ভায়োলিন,
ব্যালাড ছড়িয়ে যাচ্ছে আমাদেরও খাতার পাতায়।
ওদিকে বাইরে রোদ , উজানী হাওয়ায়
ভেসে যাচ্ছে প্রিয় নাম,
চেনা চেনা চিঠি,
ভেসে যাচ্ছে আমাদের দ্বিতীয় পৃথিবী।
বেজে যাচ্ছে ভায়োলিন
আমাদের পুর'নো টাউনে,
আর কিছু যা যা বাকি
সে সমস্ত প্রেমিকেরা জানে।
[৩]
ক্যাম্প –ফায়ার
আমাদের প্রত্যেক জনপদ ঘিরে
মুছে যাচ্ছে শীতের বিকেল,
আমাদের প্রান্ত-সন্ধ্যায় বাতি জ্বালছে নিজস্ব বিহার।
আমাদের অবিশুদ্ধ শঙ্খ-ভাণ্ডারে
জমে উঠছে স্মৃতি-বৃদ্ধ আঁচ
ধোঁয়াটুকু জমে যাচ্ছে চশমার কাঁচে
গড়াচ্ছে পেয়ালা নিরন্তর
পুষ্পসার, সাবেকী আহ্লাদে
গ্রীবা পকড়্কে উঠে আসছে গান
সন্ধ্যের টীউশনি শেষে
রতিক্লান্ত ভঙ্গিমায়
দিদিমণি এপথেই বাড়ি ফিরে যান।
[৪] রাধাকান্ত জীউ
ঠাকুরও সন্ধ্যেয় শেতল পেয়েছেন।
বারান্দায় গড়াগড়ি মেজবউ-শাশুড়ি সংলাপ।
সমুদ্র চল্কে আসা অসম্ভব ঢেউ ভাসিয়ে নিচ্ছে
আমাদের পচা মফঃস্বল
চায়ের দোকানে বাড়ছে ভিড়।
বাসস্টপে থমকে থাকা পরিযায়ী কেউ
আমাদের বলে যাচ্ছে অবাধ-সোহাগে
পাশাপাশি শুয়ে আছে মরুভূমি-মাটি
অন্ধবালিকা তার কোমল নিখাদে
মাখছে কৃষ্ণচূড়া, এ’ষার আযান ।
যশোর রোড পার হচ্ছে উটের কাফিলা,
যশোর রোডে হেঁটে যাচ্ছে চেঙ্গিস খান।|
|সালাম-বরকত... সোমনাথ রায়
আজ আবার পিতার কারক মুছে গ্যাছে- কর্ময় বসিয়েছি অবসন্ন আত্মহনন। স্মৃতির সীমানা থেকে ঢের ঢের জন্মের দূরে, হয়তো ব্যর্থ পুরোপুরি, নির্মাণ করে চলি প্রেম জাগাবার ভাষাখানি। এমন অন্ধকারে, শুধু যেই মনে পড়ে যায় তোমাদের- মাথা উঁচু করে দেখি, আকাশ দেখতে পাই, সেইদিন-ই- অমর একুশে।|
যেমন সাহস গড়ে ওঠে। পিতার কারক থেকে ভেঙে ভেঙে যাওয়া শূন্যতা কিংবা আরও ক্ষতিকর কোনও ঋণভার উপেক্ষা করে- যেমন মিছিল গড়ে ওঠে। জল-মাটি-ফসলের নরম শরীর থেকে রক্তের গর্বিত লাল- যেমন শাসন ভেঙে দ্যায়, অনুশাসনের শাঁস পচিয়ে বেরিয়ে আসে ভ্রূণের নিঃশ্বাসমুঠো, যেমন ঢাকার পথ দিয়ে বারুদ স্তব্ধ করে স্লোগান জাগিয়ে রাখে প্রেম জানাবার ভাষাখানি-
|বাসন্তী - সমরজিত্ সিংহ
পাঠ করো, এ শরীর, যেভাবে করেছো
পাঠ মুগ্ধ জাতকের কথা
সহস্র রজনী ধরে পাঠ করো এই
ওষ্ঠ ও অধর
নাভিমণ্ডলের নিচে তক্ষকের বাস,
দেখো তার অপরূপ চিত্র
সেও আজ অধ্যয়নরত
তোমার শরীর !
পাঠ শেষ হলে আমাদের
সকল জানালা যায় খুলে
অবধারিতের পথে ক্রমজীবনের
এই যাত্রা গোধূলিরচিত !
জানালার বাইরে যে আলো
আমাদের মুগ্ধ পাঠে সেও
আজ আলোকিত, মনে হবে,
স্নান শেষে বারান্দায় এসে
দাঁড়িয়েছে এলো চুলে কোনো এক পরী !|
Comments
Post a Comment