২১ শে - কবিতা সংখ্যা - পর্ব ৪
মোহ(কবিতা)
|আঁক - জয়দীপ মৈত্র
এমন এক অনাথাশ্রম
রোজরাতে যার মেঝেতে শিশু
খড়িমাটি দিয়ে নারীমূর্তি আঁকে
আর নিজেরই শরীর ঘষে
কোলের দাগটুকু মুছে দেয়
দুঃখ এতই নিপুণ আল্পনা| |ফেরা - দীপ্তিপ্রকাশ দে
দেখা না হলে যেটুকু মনখারাপ হয় , সেটুকু দিয়ে লিখতে গিয়ে দেখি বারবার দেখা হয়ে যাচ্ছে আমাদের। দেখার পাহাড় নিয়ে দৌড়ই সারাদিন। সেলুনে যাই। ঠ্যালাগাড়ির পাশে বসে পরোটাওয়ালাকে বোঝাই, আমাদের বাঁচা আর খিদে পাওয়া ঠোঁটের ওপরে কীভাবে দাঁড়িয়ে আছে দেশ। সে হাসে। খিকখিক। বিড়ি ফোঁকে। আমি তার হাসি আর বিড়ির আগুন নিয়ে ফিরি। নিজেকেও টেনে - ছেড়ে পায়ে পিষে চটিতে নিভিয়ে কোথাও একটা চলে যেতে ইচ্ছে করে , রোজ ...|
দেখা না হলে যেটুকু মনখারাপ হয় , সেটুকু দিয়ে লিখতে গিয়ে দেখি বারবার দেখা হয়ে যাচ্ছে আমাদের। দেখার পাহাড় নিয়ে দৌড়ই সারাদিন। সেলুনে যাই। ঠ্যালাগাড়ির পাশে বসে পরোটাওয়ালাকে বোঝাই, আমাদের বাঁচা আর খিদে পাওয়া ঠোঁটের ওপরে কীভাবে দাঁড়িয়ে আছে দেশ। সে হাসে। খিকখিক। বিড়ি ফোঁকে। আমি তার হাসি আর বিড়ির আগুন নিয়ে ফিরি। নিজেকেও টেনে - ছেড়ে পায়ে পিষে চটিতে নিভিয়ে কোথাও একটা চলে যেতে ইচ্ছে করে , রোজ ...|
|যে ভাবে খুঁজেছো - জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়
কতখানি পেলে?
যে ভাবে খুঁজেছো পাওয়া, ভাবলাম মেপে নিলে বুঝি।
দীর্ঘমেয়াদি অপেক্ষা, মধ্যবিত্ত অভ্যেসের লম্বা লাইন
একই ভাবে চলা
এক পা এক পা করে
এগোনোর বাইরে, এক বিক্ষিপ্ত দৌড়
বেঁচে থাকা বলা যায়
এক পা এক পা করে
সরে যাওয়া ভিড় থেকে ভিড়ে
যতদূর স্পন্দন অনুনাদ পায়;
ততখানি বিস্তৃতি খোঁজে -
যতখানি বিস্তৃত হ'তে হ'তে স্বপ্নেরা হিরণ্যগর্ভ হয়।
এক পা এক পা করে
মরুতীর্থে নদী, পানসির নোঙর, রাতের স্টেশন
কিছু পেতে চেয়ে বেঁধেছিল গান।
সে গানও পেলে না?
তবে আর কি কুড়িয়ে নিলে
দিন-রাত মাথা নত করে?
পেতেই শিখেছ শুধু, অনেকটা পেতে হবে বলে;
প্রাপ্তি কে চিনতে শেখোনি।|
যে ভাবে খুঁজেছো পাওয়া, ভাবলাম মেপে নিলে বুঝি।
দীর্ঘমেয়াদি অপেক্ষা, মধ্যবিত্ত অভ্যেসের লম্বা লাইন
একই ভাবে চলা
এক পা এক পা করে
এগোনোর বাইরে, এক বিক্ষিপ্ত দৌড়
বেঁচে থাকা বলা যায়
এক পা এক পা করে
সরে যাওয়া ভিড় থেকে ভিড়ে
যতদূর স্পন্দন অনুনাদ পায়;
ততখানি বিস্তৃতি খোঁজে -
যতখানি বিস্তৃত হ'তে হ'তে স্বপ্নেরা হিরণ্যগর্ভ হয়।
এক পা এক পা করে
মরুতীর্থে নদী, পানসির নোঙর, রাতের স্টেশন
কিছু পেতে চেয়ে বেঁধেছিল গান।
সে গানও পেলে না?
তবে আর কি কুড়িয়ে নিলে
দিন-রাত মাথা নত করে?
পেতেই শিখেছ শুধু, অনেকটা পেতে হবে বলে;
প্রাপ্তি কে চিনতে শেখোনি।|
|মহিলা পাঠিকাদের জন্য - রঙ্গীত মিত্র
সমস্ত মহিলা পাঠককে টেনে আনার জন্যে
একটা মদের বোতল,সিগারেটের গোপনীতায় রেখে দিলেম হে লেখা।
যদিও চড়ুই,মিসডকল এবং সামাজিক ;
এখানে সুন্দরী শব্দটা অর্থের সমানুপাতিক।
তাই ইচ্ছা একমাত্র দেখাতেই সীমাবদ্ধ।
তবু একটু দেখতে পেয়ে,হিংসারা বেড়ে ওঠে
তখন নিজেকে প্রশ্ন করি আমি কেন,এইরকম ।
আমি বোধহয় এইরকম বলেই
আমার বন্ধুরা সেলিব্রিটি হয়ে আমাকে ভুলে যায়।
আর সেখানে মই-এর মতো আমি
কিন্তু সময়ের একধাপ এগিয়ে থাকা আমার বোধ,এইবার বাস্তবে এসো।||অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায়
কথা হচ্ছিল শূন্যস্থান পূরণ নিয়ে
শব্দ জড়িয়ে থাকে ঘুম। অজস্র হেঁটে বেড়ানোর তথ্যচিত্র।
মৌমাছির পালক থেকে খসে পড়ছে জাদু ও পেন্সিল। তবু
সকাল সকাল বীজকথা। ধ্বস্তলিপি। মেঘপুরাণ।
আর এক-শিংওয়ালা ঘোড়া।
এগিয়ে আসে। থপথপ। কাদা পা।
গর্তের ভেতর লুকনো গুহাবাসীদের খসড়া।
প্রচুর জন্মের ভেতর দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছি পর্দার ওপাশে।
যেন স্যুইচ অফ আর স্যুইচ অনের মাঝখানে যতটুকু গ্যাপ
তার মধ্যে একটা ইউনিকর্ণ নিয়ে বসে আছি
পাখিটি
তাহলে বেলুনের কিছু বিনির্মাণ করি হাওয়ার ভেতর
যেমন ছদ্মবেশ আড়ালের পর ঘন সবুজ রঙের একটা জন্মান্তর এসে দাঁড়ায়।
খেলার মাঠে বৃষ্টি নামার আগে নিজেদের দিকে টেনে নিই বিশ্বাসগুলো।
তাহলে হাওয়ারও কিছু বিনির্মাণ করতে পারি।
যেমন, পাখিটি ঘুমায়।
বিষণ্ণ বোতাম আর ভাঙাচোরা কিছু রঙ নিয়ে পাখিটি ঘুমায়।
পাখিটি ঘুমায় এ’কথা বলতে আমরা কোনো সমাধানে পৌঁছই না
অথচ বুঝি কোনো বোধোদয় অথবা অত্যন্ত ঝুঁকে পড়া অভিমানগুলির কথা বলা হচ্ছে।
আজকাল স্পর্শ নামক অত্যন্ত স্নেহসুলভ কথাটিও
আমি ঝুঁকে পড়ে তোমার সাদা কাঁধের ওপর রাখি।
আর পাখিটি ঘুমায় বিষণ্ণ বোতাম, সাদা রঙ সাথে নিয়ে।
বিসর্গ
কাঁটা ঝিনুক, পেতে রাখো তোমার নরম, সমুদ্র কোরক।
সীমিত সেতুর নিচ দিয়ে
হেঁটে যায় জলযান আর বেঁটে মানুষ।
বাদাম খেলে আমরা অনেক দুঃখ ভুলে যাই
আবহাওয়া দপ্তরের পাশে আইসক্রিমওয়ালা মানুষের ভেতর ঢুকিয়ে দিচ্ছে
শীতকাল। চুলের ভেতর কেউ নিঃশ্বাস টুকে রাখে।|
Comments
Post a Comment