২১ শে - কবিতা সংখ্যা - পর্ব ১৫
মোহ(কবিতা)
Thank You
সব অসুখের ডাকনাম হয় না
যেমন ভালোনাম থাকে না
সমস্ত সুখের।
আবার কয়েকটা নামহীন ডাকাডাকি থাকে
কানে-কানে ফিসফিস থাকে
বেপরোয়া চোখাচুখি থাকে
গোপনীয় ছুঁয়ে থাকা –
যারা কেউ কেউ নিখোঁজ হয় কখনও।
কিন্তু নামহীন ঐ খোঁজাখুঁজিদের
নিরুদ্দেশের পাতায় দ্যাখা যায় না –
কারণ, সব অসুখের ডাকনাম হয় না
আর, ভালোনাম হয় না সমস্ত সুখের।|
Thank You
একবার দেখা দ্যায়, একবার গাছের আড়ালে
সবুজ পাতার থেকে কোনো এক ফুলঢাকা ডালে
অবিরাম যায় আসে- নিয়মনিষ্ঠাময় বোধ
কখনো ছুঁয়েছে একে? যেন কোনো পুরনো সকাল
মূলতঃ শিশির নয়, যে নিয়মে শিশিরের কাল
কখনো আরম্ভ হয় তাকে ক্রমে পেয়ে গিয়ে টের
শিশির ধারণা থেকে একান্ত নিজস্ব স্বপ্নের
ভিতরেই খেলা করে- ক্লান্ত হয়- তৃপ্ত হয়, শেষে
কীভাবে ফুরিয়ে যায় নিজেকে নিবিড় ভালোবেসে
উঠোন ধোওয়ানো গন্ধে আমি রোজ ক্লান্তি শুনি তার
মনে পড়ে, অরণ্যের পথে যেতে যেতে একবার
এক আর্ত সুর শুনে ছুটে গিয়ে দেখি বহুদূর
সুরের কণ্ঠ থেকে কীরকম ছিটকে ময়ূর
বর্ষার অরণ্যে শুয়ে শান্ত হয় ভুলে সব ক্রোধ
উঠানে কি খেলা করে সেইভাবে অসম্ভব রোদ?| Thank You
খানিক সাগর চাই, বুঝলে অরুন্ধতী।
আমার খানিক সাগর চাই, অসময়ে।
আলতো বিজ্ঞাপনে, স্বাধীনতা
ব্যাকুল হবে।
নিদারুণ মার্চের শেষ হপ্তায়
আলতা-পা জড়িয়ে রেখে বলব, এখানে লাল কাঁকড়ারা
হ্যাজাকের আলোয়
সংসার সাজায়।
জয়দেব আওড়াবে তুমিঃ ‘ভ্রষ্ট কম্যুনিস্ট’, ন্যাকা ন্যাকা আবৃত্তি।
অকিঞ্চিৎ রাগ হবে।
আমিও যদি ভ্রষ্ট কবি সেজে নিই
সাদা জামায় সাজিয়ে রাখি বিপ্লবের
দু’ডিজিট তথ্য।
রেলগাড়িগুলো খয়েরি ছিল। ভালো ছিল।
লাল-সবুজের রাজাবাজারে গা গুলিয়ে ওঠে।|Thank You
তুমি জিম্বাবোয়ের লোক
তুমি কেনিয়ার লোক
তুমি ব্রাজিল, শ্রীলঙ্কা, দঃআফ্রিকার লোক
আমি ইণ্ডিয়ার লোক
আমি বাংলার লোক
তবুও বোঝায় যায় না
কে কার মুখাবয়বের প্রতিলিপি এঁকেছে!
সবাই একই মুখ নিয়ে শিরোনামে বিজ্ঞাপনে।
Thank You
ভাষাকে একুশ বলে জানা। একুশ ফুরিয়ে এলে আমরাও ভাষা ভুলে যাব। দেখেছি সবাই বলছে, বাংলা ছেড়ে ঝুঁকে পড়ছি ইংরাজির দিকে। ঝুঁকে পড়ে দেখি, আমার জলেতে ছায়া, একটা মাংসের হাড় মুখে করে একটা কুকুর। |
Comments
Post a Comment