মোহ ১



click me
মোহ ( কবিতা )

সূচীপত্রঃ

অস্পষ্টমাছ - সজলসমুদ্র
রসুন - অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায়
[ইবাদাৎ] - আষিক
বাগান২ - জয়দীপমৈত্র
ফেব্রুয়ারীর বিকেল - বেবী সাউ

click me
অস্পষ্টমাছ
সজলসমুদ্র


এখন আঁশটে গন্ধের দিকে মিলিয়ে যাওয়াই যায়!

গান থেমে গেছে, ফাঁকা হয়ে এলো সানগ্লাস পরা বিয়েবাড়ি।
চলে যাবে রাতের ট্রেন তার শেষ হুইসেল-সমেত।
তুমি গুটিয়ে নেবে তাঁবু ও চেয়ার, যা ছিল মাংসাশীদের।
সমস্ত আলোকসজ্জার নিচে পড়ে থাকবে ভাঙা অ্যাকুরিয়ামের গল্প,
দু'একটি মাছের মৃত্যু, শুশ্রূষাহীন।

শেষরাত্রির তারার দিকে ঝুঁকে পড়া এ জীবন, বুঝি—
তোমার উৎসব জুড়ে আমি এক অস্পষ্টমাছ

click me
রসুন
অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায়

গর্ভের সমস্ত তুমিতে দ্যাখো
কোথাও নদী দাঁড়িয়ে আছে
তখনদু পু র
তখন চড়ুইভাতি টের পায় ধোয়া হয়ে গেল ডালের কড়াই
তীক্ষ্ণ মলয়মাঠ
রসুনের কোয়া ছাড়াচ্ছে মেয়েটা
click me
[ইবাদাৎ]
আষিক

কুর্দিশ মেয়েটি নিচুস্বরে আমাকে বলছিল
বলছিল ইস্তানবুলের কথা, বিশ্বাসের কথা
বলছিল সেখানে বিশ্বাসের রং আছে
বলছিল স্কার্ফ ও উচ্চশিক্ষা একসাথে কী রকম যায় না
বলছিল সে কেমন আমেরিকায় চলে এসেছে
ঈশ্বরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে একবার দেখবে বলে

click me


বাগান২
জয়দীপমৈত্র

কোথা থেকে একটা সাদাফুলের ডাল নিয়ে এসে মা পুঁতে দিলো
মাটিতে।ওর শেকড় নেই। আমি বললাম বাঁচবে ?কোনো কথা না
বলে জল ঢালতে লাগলো মা। ডালটা হয়তো
একদিন শেকড় অব্দি পৌঁছোবে।

ভেতরের ঘরে বাবা তখন আমার হামাগুড়ি দেওয়ার ছবি তুলে

রাখছিলো

click me

ফেব্রুয়ারীর বিকেল
বেবী সাউ

কাল অঝোরে কেঁদেছে আমাদের ভালো ভাষা
কিন্তু ,
ঈশ্বরের মন খুশি ছিল খুব
চিলেকোঠা ঘরে লুকিয়ে থাকা শৈশব
তুলে এনে নিজেকে রাজা ভেবে বসেছে

শৈশবের হাত ধরে দরজায় ঢুকছে আনন্দ
আনন্দের ব্যাগেহারানো ভাষা
যে ভাষায় আমার মাকে চিনেছি প্রথম
বাবার নাম লিখেছি দেওয়াল জুড়ে

উপায় না পেয়ে ঈশ্বরের পিছন পিছন ঘুরছি আমিও
এতদিন পরে মা আলতা পায়ে পায়েস রান্না করছেন
ঈশ্বর আর আমি উনুনের পাশে বসে ঝিমোচ্ছি

| সম্পাদনাঃ পায়েল নন্দী |

Comments