মোহ ৪
মোহ (কবিতা) |
সূচীপত্রঃ
( লেখাটিতে পৌঁছতে সূচীপত্রে ক্লিক করুন )
ম্যাজিকের উত্তর সোম সরকার তার আসার চেয়ে আমার চলে যাওয়া অনেকবেশি জাদুশক্তি নেয় । সেই জাদুতে কোনো কূটকৌশল নেই, কোন যে মায়াজালে আটকে থাকা ছোটো একটা চেতনঊষা তা উঠতে উঠতে একসময় ভুঁস করে মিলিয়ে যায় । সে হবে ম্যাজিকের দর্শক, আমি হব কেবল-ই লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু টিপ হবে ব্যর্থ যা ম্যাজিশিয়ানের সবচেয়ে বড় সাফল্য । তবে এখনো চেষ্টা চলছে ম্যাজিশিয়ানের অবস্থান স্থির করার । আসার আগে? চলে যাওয়ার আগে? আর সেই প্রশ্নটা সাদা পায়রাটির পায়ে বাঁধা । নিরুত্তর কালো বাক্সবন্দী । কারসাজি সুপর্ণা নাথ আমার বালিশের উপর তোমার স্বভাব মাথা রাখলো এখন, তুমি আজানের অপেক্ষায় তেপান্তর হয়ে গেলে... আজানের নীল রঙে কাল একটা গোটা ডিকশানারির পাতা এলোমেলো হয়ে উড়বে আজকের থেকে ধার নেওয়া হাওয়ায়... ধ্রুবাশ্রম... প্রজ্ঞাদীপা ১। পড়া যাচ্ছে গ্রন্থাগার, সহজ তর পাঠ। পড়া যাচ্ছে সামান্য কৌতুক। দেওয়ালে গ্রাফিতি পিছলে নেমে আসছে ডাইনোসর শিশু। ঠিক যেভাবে ভেবেছে তোমার রঙেরা, মেঘেরাও আজ ঠিক সেভাবে সেজেছে। এপর্যন্ত ঠিকঠাক , বাকিটা বেব্ভুল তোমার ডায়েরী-বই, রোদ্দুরে সাপ্টানো আসল ফুলেল, আধো বৃষ্টি , বৃষ্টির দিন। শালবৃক্ষ , পাঁচিলেরা ভাবতে পারেনি এ গঞ্জের রূপকথা এখনো রঙিন... ২। পালানোর পরে গল্প শুরু। পালানোর পরে রাস্তা হারিয়েছে রোদ। টিউকল, সুধন্য জেঠুদের বাড়ি, ছোটপিসি, হারমোনিয়াম। একটানা ঝিল রোড অথবা বস্তিতে মায়ের কপালে রক্ত, বাবা পলাতক, ছোটভাই ভয়, এসব শব্দ শিখে লিখে ফেলছো কুলীন আখ্যান... তবু রোজ রাতে নাকি নিভৃত শ্রমণ চুপিচুপি দুভা’ইয়ের শিথানে দাঁড়ান... ৩। কোথাকার পোঁটা-পরা সুরজ কুমার গুঙিয়ে গুঙিয়ে কাঁদে সন্ধ্যের ঝোঁকে। “হামে ঘর যানা হ্যাঁয়”... ঘরের মতলব নিয়ে বেশক্ ভেবেছি। আজও ভাবছি রাস্তাগলি, তোমার আঙিনা, কেমনে ফিরাবে বল যে লোভ এনেছি, কেমনে তাড়াবে বল লোভের উজানী? নগর পেরিয়ে বন, শববাহী নদী... সেখানে উত্তাপ রাখা, আমাদেরও ব্যথার বাগিচা । এখনো বোঝনি????? ৪। উফ্, এই রোমাঞ্চময় কাহিনীর শেষে আমাদের জন্যে লম্বা ছুটি।লাল-নীল পাতার সারস ছুটির সন্দেশ নিয়ে ঘরে ফিরে যায়।সন্ধ্যে নামে। মিথ্যে উপাসনা। প্রাকৃত শব্দেরা রোজ মারামারি করে। আমাদের প্রাচীন কারাবাস।ভুলে যাওয়া বাড়িদের ছবি । মা-গন্ধী হাওয়া আমাদেরও কাছে ডাকে। বোকারা বোঝেনা, এভাবে ফুরিয়ে যায় আমাদেরও প্রবাসের দিন। এক পেগ শহর অংশুমান দে শহরের শরীর অ্যালকোহলিক পরীর; সেই কবে থেকে ভাবছি আর ভুগছি। আর এক পেগ শহর ঢালো জীবন আজ নীলাভ অসহায়তা উড়ছে আমার মেঘে। অমোঘ স্যাঁতসেঁতে পারফিউমের নেশায় অফুরন্ত আমি তুমি দ্বিধা দ্বন্দ ভুলে যাই ফুটে ওঠে রাত শহরে স্নান করে মানুষ, শহরে ঘুমায়।একটু যদি অন্য রকম... শ্রীজা ভট্টাচার্য একটু যদি অন্য রকম চরিত্র নি যেমন, আমি এল.সি.ডির সামনে ছবি হয়ে বসে আছি, আর ছবিটা লজ্জা পেয়ে বলে বসলোঃ “উফ্ এই এক ভাবে তাকিয়ে থাকিস কি করে?” অথবা, একটা সদ্যজাত প্রেম ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে পকেটে বেজে উঠছে অথচ আমি চোয়াল শক্ত করে বলে বসলাম, “এনগেজড্”। |
| সম্পাদনাঃ পায়েল নন্দী |
banan niye ektu satarko hole bhalo hoto na ki?
ReplyDelete