মোহ ৩
|  | 
| মোহ (কবিতা) | 
সূচীপত্রঃ
( লেখাটিতে পৌঁছতে সূচীপত্রে ক্লিক করুন )
| 
রঙ - সঞ্জয় ঋষি 
সেই সেখানেই এলাম - প্রলয় মুখার্জী 
ক্যাসাবিয়াঙ্কা - হীরক মুখোপাধ্যায় 
আবার অবেলার স্নানে - তুহিন দাস 
পিঠে পিঠ - রাজর্ষি মজুমদার |  
রঙ - সঞ্জয় ঋষি 
আপেলের ঘোর ঘোর স্বপ্ন 
হূদপিন্ড দুটি প্লেটের উপর 
বীজ সহ লাফাচ্ছে... 
#  
যে কোন বীজের উপর 
কামড় পরলে কেমন যেন লাগে... 
#  
পাতি লেবুর খোসা দিয়ে... 
কেউ তুলে দেবে 
আত্মহত্যার রঙ ? 
 #  
জলন্ত মোমের উপর 
সমস্ত জ্যোত্স্নাই সাময়িক হলুদ!   
বুকের উপর কালো হয়ে যাচ্ছে 
অন্য বুকের রঙ...  
সেই সেখানেই এলাম - প্রলয় মুখার্জী 
১ 
মরা মাছ জলে ভাসে 
মরা মানুষ জলে ভাসে 
সাঁতারের কাছে মৃত্যুর কোনো দায় নেই। 
২ 
তোমার মুখ আঁকতে বলছ 
আমি বলিরেখা এঁকে দিলাম 
তুমি দিনের শেষে বেঁচে থাকো প্রেমিক তো চাইবেই 
৩ 
জলে ঢিল ছুঁড়লে কেঁপে ওঠে জল 
ভয়ে ছোটাছুটি করে গোটা পুকুর 
অজস্র ঢিল ছোঁড়ার পর জ্বরে কেঁপে উঠলে মাথা 
জল কপাল জড়িয়ে বলে সেরে ওঠ ভাই। 
৪ 
বলছ রঙ জানতে হলে অন্ধ হতে হয় 
তুমি ছোট্ট ঘরে আলো আসতে দিচ্ছ না 
আমি পালাতে গিয়ে শুনলাম 
জানলার পাশে ছোলাচারা রাখার গান 
যে আলোর দিকে বেঁকে গেছে নিজে থেকে 
৫ 
ঘুমাতে যাবার আগে তোমায় দেখি 
পরিচিত পাখি মুখ ফাঁক করে দানা চাইছে 
আমি ঝাঁপিয়ে পড়ছি কোমরের নীচে ঘাস সরিয়ে 
আসলে আমার ঘর তোমার পেটে তিল তিল করে বাড়ছে। 
৬ 
হাত পা বেঁধে সেই নদীর বুকে ফেলে দিলে 
নদী এত ভালবাসি নদীই আমায় ডুবিয়ে দিলো 
তুমি বলছ মৃত্যুর কাছে সাঁতারের কোনো দায় নেই  
ক্যাসাবিয়াঙ্কা - হীরক মুখোপাধ্যায় একটা আগুন ক্রমশ দিল্লিরোড-নগা-পিজিক্রসিং হয়ে জ্বরের মতো ঝলসে দিচ্ছে চৌকাঠের গা, এমন অসুস্থ আঁচে দাঁড়ানো যায়না, বুকপকেট পুড়ে যায় জলপটিতে- শরীরে ফুটেওঠে প্রেসক্রিপশনের ফাটল। টিভিসোপের মতো লাইফে কোনো গিমিক থাকেনা ক্যাসাবিয়াঙ্কা! বাবা ঘুমোচ্ছেন, শিরায় বেঁধা ঘড়ির রুগ্ন কাঁটা, রক্তে মিশছে টুপটাপ আয়ু আর তুমি হাঁটছো, ফুটপাত সোজাসাপ্টা চলেগ্যাছে চায়ের দোকান থেকে কার্নিশ অব্দি। বইমেলা শেষ- পুরানো রোদের ভাঁজে সৌজন্যসঙ্খ্যা আর রিটার্ন টিকেট। ঋণ: ফেলিসিয়া ডরোথি হেম্যান্স।  
আবার অবেলার স্নানে - তুহিন দাস 
কতোবার আমি হাতের তালুতে জল ধরে এগিয়ে দিয়েছি  
নিজের দিকে আর মনে মনে বলেছি : বিস্মৃতি আমাকে এবার তীব্র পুরস্কার দাও;  
অভ্যাস ফিরে আসে কিছুকাল পরে বকুলগন্ধের স্মৃতির মতো,  
এই তো আমাদের সদ্ভাব ও অবলেখনী স্মৃতি –  
তবু নীরবতাটুকু হাই তুলে জ্বলজ্বলে, এখনো আয়ুষ্মান তার শেকড়,  
তারপর কতো যে ঋতু গেলো, চেনা আকাশ আমাদেরও চিনতে পারলো না,  
শুধু পাখিদের ঘোরচক্করে কেউ ডেকে বলে, তুই এবার অনির্বাণ হ...  
সেই তো আবার অবসন্নতার কাছে যাওয়া, বিদায়ী কথাগুলো  
এখনো ঘরের ভেতরে গমগম করে, যতদূরে পিছু ডাকার শব্দ পৌঁছায়  
ততদূরে হাওয়া খেলার ধুলো উড়িয়ে নিয়ে যায়, শেষে প্রবাস থেকে  
ফিরে এলো অভিমান, যেন জানেনি কেউ, বসেওনি নিজস্ব মৃদু নীরবতার কাছে,  
পরিচিত আসার অপেক্ষা করে অনেকবার আমি অবেলার স্নানে গিয়েছি, একলা পেয়ে আমাকে তখন কেবলি দোষী করেছে শেষ বিকেলের রোদ্দুর  
পিঠে পিঠ - রাজর্ষি মজুমদার এখানে ঘুমোতে গেলে পিঠে পিঠ – তুমি জান কিকরে হাতে হাত লেগে যাবে। এমন দিনের তুষার পায়ের পাশে পড়ে , মনে করো তুমি আটকে রয়েছ। # আমিও একা বেরিয়েছিলাম। নিষ্ক্রমণ, সুধাময়ী গান যেন হাওয়ায় ... প্রতিটি ভিখিরির পাশে পিঠ পেতে শুতে চেয়েছি অনেক বছর ধরে। শেষে তাঁবু হাতে ডাক পাড়া পাতে পাতে বেড়ে যাওয়া ভাত, ক্ষিদে পেলে নীচু হয়ে ছুঁতে যাই এমন ভরাট দিনে অপেক্ষমান হাত মনে পড়ে। # তাঁবুর একটা গোপন রেডিয়োয় তোমায় বাজিয়ে; বাড়ি ফিরছি... যেন দূরে তুষার, দরজায় পিঠ দিয়ে বসে আছ তুমি। | 
| সম্পাদনাঃ পায়েল নন্দী |


Comments
Post a Comment