হা-ডু-ডু খেলতে পারেনা যারা - রঙ্গীত মিত্র








বৃষ্টি হয়ে যাওয়ার পর পর্ব

বৃষ্টি হয়ে যাওয়ার পর ব্রীজের মাথা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস আসে। দোনলা বন্দুক নিয়ে আশ্চর্য নক্ষত্ররা শিকারে বের হয়। তবু সারা সকাল জুড়ে অ্যালকোথল নেমেছে,রাস্তায়। তার শব্দেরা ট্রেনের কানে থাপ্পর মেরে সেই যে উধাও হয়েছে,আর আসেনি ফিরে। ইদানীং আমার শরীরে চুলকায়। রাস্তায় বেরোলেই মেয়ে ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাইনা। তাদের জিন্স। জিন্সের সমতল পা আমাকে টেনে নিয়ে যায়।যেভাবে স্রোত টেনে নিয়ে যায় নৌকাকে। নৌকা আমি এই শহরের রাস্তায় দেখিনি। তবে প্রেমকে দেখেছি। সিপিএম দেখে বড় হয়ে বুঝেছি লেফট রাইট কিরকম।তাও আমার বড় বড় বাড়িগুলো দেখলে ভয় হয়।মনে হয় এ যেন সেই প্রাচীন যুগের কোনো অরন্য । এইবুঝি ডায়নোসররা এসে গেলো। মাঝে মাঝে শহরের শরীরে শরীর মিলিয়ে দেখি, একটা স্কুটি আর একটা বাইক গল্প করছে। কিম্বা অটোর পিছনে বসা তিনটি মেয়ে কি কথাই না বলছে। অথচ মেয়েরা আমাকে নিয়ে কোনো কথা বলে না। আমাকে নিয়ে যে কোনো মেয়ের কোনো উৎসাহ বলে কিছু আছে কি না জানি না।আমার তো বেশ সেক্স নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ইচ্ছে করে।আসলে বড় হতে গিয়ে দেখেছি,আমার বন্ধুরা কত কিছুই না করছে । কিন্তু আমি পারছিনা। আমি আমার নিয়ম থেকে বেরোতে যখনই গেছি,কেস খেয়েছি।দূর থেকে হতাশা বাড়ানো ছাড়া আমার আর কিছু করার নেই। কে যেন বলে দিয়েছে ঝাড় খাওয়াই আমার জীবন। আমি যেটা করছি তার বাইরে বেরোলেই হেরে যাবো। কিন্তু আমি জানেন আপ্রান রেবেল। আমাকে তাই যা করতে হয় কষ্ট করতে হয়।

মাথা নিচু করবো না পর্ব

মাথা আমি নিচু করবো না। খারাপ লোকের সাথে কম্প্রোমাইজ করবো না...এইসবই আমার ভাবনা। কিন্তু প্রায় মধ্য বয়েসে এসে খেয়াল করলাম পৃথিবীর সব জায়গাই এক।আর খারাপ ভালো বলে কিছু হয় না। আমার সাথে যার মেলে,সে আমার কাছে ভালো। তবে আজকাল সংসারের দিকে মন গেছে।কিন্তু তবু মধ্যরাতে স্বপ্নে ওপেনসোসাইটি নেমে আসে। নিজেকে প্রশ্ন করি,আমরা কেন এখনো একটি মেয়েকে মানুষ বলে ভেবে উঠতে পারিনা।এখনো মেয়েদের কেন পিছনে ফেলে রেখে এসেছি? যে সমাজে মেয়েরা সামনে থাকেনা...সেখানে তো সুখ নেই। অসুখের ডাল থেকে মোবাইলের টাওয়ার মেকি আঁতলামো এবং প্রতিযোগিতার বাবা বানান ভুল করে একদিনে বাঙালীকে বং বানিয়ে সেজে কি ভারতীয়করণ করলো, ভাবা যায় না... আসলে সব কিছু পেয়েও নিজেদের রুট ভুলে যাওয়া...এই যে গ্রহণ বর্জনের ব্যালেন্স না শিখেই যে মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে... সেই দিক থেকে গ্রহান্তর ভালো ছিলো।

অটো


মেয়েরা আজকাল বড় লোক কিম্বা প্রচারপ্রিয় লোকজনদের লাইক করে। আজ গাঙ্গুলি বাগান থেকে অটোতে উঠেছিলাম। আমি আমার পাশে একটি ছেলে তার পাশে একটি মেয়ে আর অটোর সামনের সিটে একটি মেয়ে... আসলে মেয়েরা কি আমার পাশের সিটে বসতে চান না? জানি না...তবে মেয়ে দেখলেই সবাই কেমন বদলে যায়।অটোতে যেতে যেতে রাস্তায় দেখছি ফলন্ত গাছের মতো কত মেয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।কেউ কেউ প্রেমের ভিতর থেকে মধু নিয়ে উড়ে যাচ্ছেন অন্যবাসায়। কেউ কেউ বাসস্ট্যান্ড হয়ে তরল নেশার ভিতর মাদকের ভিতর নিশ্বাসের ধোঁয়া দিয়ে বানিয়ে দিচ্ছেন কন্ডোম... তার সেই রাঙানো রামধনুর শরীরের ক্ষেত একি জিনিস লিখে যাচ্ছে... এইবার যাদবপুর থানার সামনে এসে দাঁড়লো,অটো।আমি নেমে গেলাম। অটোঅলাটা তার পাশে বসা মেয়েটাকে বল্ল , “দিদি পিছনে যান। পিছনে বসলে আপনার এবং আমার দুজনেরই ভাল হবে।” মেয়েটি লজ্জায় আর সিট বদলাতে পারলো না। এদিকে সিগন্যাল ছেড়ে দিয়েছে বল অটোটা আমাকে পাশ কাটিয়ে সোজা ঢাকুরিয়ার দিকে চলে যেতে থাকলো... আর শহরের গতিপথকে ফলো করতে থাকলাম... যদিও জানি না এর শেষ কবে হবে...












---

Comments