গাব্রিয়েলে -মজনু শাহ







গাব্রিয়েলে, বাড়ি কোথায় তোমার? শুনে, নাচল একটুখানি। তারপর সেই পুরনো হাসি। বললে, তুত্তা লা রোমা, আংকে, তুত্ত ইল্ মন্দ। ভাবখানা এই, কিছু নাই, তাই সবই আমার! উল্টো অভয় দেয় আমায়, দুশ্চিন্তা করো না, পাথরপর্বতের অন্তরে যিনি কীটেদের অন্নবিন্দু পৌছান, তিনিই দেখবেন, এই খেলনা পিস্তলটা রাখো তবু। তখন একখণ্ড মেঘ, যেন টেলিগ্রাম। সমস্ত পুষ্প, পরিহাসময়। মৃত এক মেপলপাতা উড়ে আসে, তাকেও বলি, কোন্ গ্রন্থ থেকে খসে পড়লে হে অপূর্ব অস্বীকার!


বহুদূর খুঁড়ে ফেলি। তারপরও বহু রয়ে যায় ভাষার অবদমন। দুমড়ানো, পিঙ্গল, অর্ধদগ্ধ বাক্যের স্তর লক্ষ করি। তোমাদের ওখানে, শুনি এখন ঘাসেরাও এত পণ্ডিত। কাশফুল বেণীবিভ্রান্ত ছাত্রীর অধিক।

বর্ণমালা, আমার হাওয়াঘর। মেয়েপুতুলের বেণী ছাড়া আর কিছু রচনায় আমি কি পারঙ্গম! অন্যের বাড়িতে থাকি, অন্য এক অতিশয় দ্বিতীয় বেড়াল যেন। যে-ইষ্ট প্রজাপতি অসম্ভব মৃত্যুকে বহন করে, সেও ক্রমশ ধায় অন্যের ধূসর ক্ষুধার দিকে।

ধায় বেগুনি রশ্মি, রশ্মিদের ভেতরে সবচেয়ে চিন্তাশীল। তোমার সমস্ত রূপ, রাত্রিলেখা, আর্শি থেকে দূরে, অবাক মর্মর। কেউ পাখি লিখছে তবু, পাখি পড়ছে। মেধার তরবারী আপেলগাছের তলে কিছুকাল শোয়ানো রয়েছে।

কেউ কি ঘুমাতে পারে তবু ঐ বৃহস্পতির মতো! ভুল কোনো এক খেলার ভেতর আমি আর সেই জেব্রাগণ। সবই অস্পষ্টে বলি, আরও অবিশ্লেষণের দিকে ঠেলে দেয় হাঁসেদের চিৎকার। আনো তেমন চকিত বিশ্লেষণ, বিশাল মদের পিপের পাশে যেন রাত্রিনিন্দুকের মুখ স্পষ্ট হয়। অশেষ উড্ডয়নের কাল এসে পড়ল, হে উড়ুক্কু মাছ, আমাকে সঙ্গে নাও।





---

Comments