Dolchhut Printed 4th Edition - Film
সেই মুহুর্তটা, Just একটা Co-incident
১.
ইচ্ছে ছিল এবছর কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভালের delegate হব. উত্সবের সূচনার
একদিন পরে গিয়েও এরকম একটা উদ্ভট পাগলাটে আবদার করে ফেলেছিলাম নন্দন কতৃপক্ষের
কাছে, তা উত্সবের মস্ত সব হোতা কর্তা বিধাতারা আমার সেই অনাবৃত প্রস্তাব শুনে
বেশখানিক নাখ-কান-ভ্রু ব্যাথাবেথির পর্ব চালালেন, এরপর তারা প্রায়
একপ্রকার নিমরাজি হয়ে, আমার প্রাক্তন অভিজ্ঞতার সমস্ত কথাবার্তা শুনে তা যথাযত চলচ্চিত্র বিজ্ঞদের
(?) মতো বিচার করে শেষমেশ আমাকে অনুষ্ঠানের অংশ করে নিতে কোনো প্রতিবাদ
জানালেননা, শুধুমাত্র আমারই দোষে আমার দু'কপি সাগিয়াত ফটোর অভাবে
এবারের ইচ্ছেটা ওই just একটা ইচ্ছেই রয়ে গেল. আমার আর ১৬ তম কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভেলের
delegate হয়ে ওঠা হলনা.
২.
যাইহোক এরকম একটা মনখারাপ নিয়ে একটা ছবি দেখব করে ঠিক করলাম, ছবির নাম 'The
Legend', ভিয়েতনামিও দু'ঘন্টার ছবি,যথারীতি সময়ে প্রেখ্যাগৃহেও ঢুকে পরলাম লাইন দিয়ে, আর...তার ঠিক পরেরই
ঘটনা!!!
৩.
ভিয়েতনামিও ছবির বদলে শুরু হলো কলকাতার মেয়ে সঙ্গীতা দত্তের রচনা ও
পরিচালনায় (জীবিকাপর্ব
- নির্বাচনা [Oriya]-১৯৯৭{অভিনেত্রী}, চোখের বালি[Bengali] {Associate
Director-2003}, Shy am Benegal[English Book]-{Author-2003}, 'आस्था'[Hindi]-২০০৪{সহকারী পরিচালক},
'Raincoat'[Hindi]-{Assistant Director-2004}, 'অন্তরমহল'[Bengali]-{Associate Director-2005},
The Last Lear-{Associate Director-2007}, 'Brick Lane-{Associate director-2007}
'The Economics of Happiness'[English Documentary-2011]-{Additional photography
& Electrical Department}) 'Life Goes On...'.
৪.
সেইমত অবস্থায় টিকিট কেটে হলে ঢোকা দর্শকের যেরকম উগ্র অভিবাদন হওয়া উচিত আমার তার চেয়ে
বেশি বৈ কম কিছু হলো না, রীতিমত গালিগালাজ করতে করতে বুদ্ধবাবুকেও ছারলামনা-এরই মধে কতৃপক্ষের তরফ
থেকে ঘোষণা করা হলো 'The Legend' না দেখাতে পারার কারণসমূহ. কিন্তু আমরা তো এখন
পুরোদস্তুর বিপ্লবী, আর এরই মধে মঞ্চ ধীরে ধীরে ফাঁকা হলো, নন্দন থেকে বলা হলো যারা
এ ছবি দেখতে আগ্রহী নন তারা টিকিটের দাম ফেরৎ পেয়ে যাবেন, চিলচিত্কার করতে করতে
প্রকৃত বিপ্লবীরা হল থেকে বেরিয়ে গেলেন, আলো নিভলো.
৫.
আর আমি এক অকৃতজ্ঞ যোদ্ধার মতো হলের এককোণে বসে রইলাম, একসময় projector
এর থেকে একটুকরো আলো
বেড়িয়ে নিজেকে উন্মুক্ত করে দিল সাদা পর্দার ভেজা শরীরে. উজ্জ্বল আলোয় ভেসে
উঠলো....Sharmila Tagore/ Girish Karnad/ Om Puri/ Soha Ali
Khan...চোখের সামনে এইসব নামগুলো দেখে আমি তখন আমার বৈপ্লবিক স্বত্তা আর
ভিয়েতনামিও ছবি দুটোকেই পানাপুকুরের জলে ফেলে নিজের ব্যাগটাকে কোলের উপর সাজিয়ে
বসলাম, চোখের সামনে বড় বড় রুপোলি হরফে ভেসে উঠল ''Life Goes on''.
৬.
যাইহোক ছবি দেখতে যাওয়ার গল্পটল্প তো অনেকটাই শোনালাম এবার চলুন ছবির মূল
গল্পের কথায় আসা যাক. ছবিটির ত্রিনায় আঁকা
প্রতিটি দেওয়ালের আশিয়ানায় অসহায়-ভগ্নহৃদয়
একজন বাবা এবং তার তিন মেয়ের মধ্যেকার প্রতি মুহুর্তের সম্পর্কের আচড়ের দাগগুলো
ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে অথবা বলা যেতে পরে...a
devastated husband rediscover's life after wife's death.আজকালের প্রেখ্যাপটে লন্ডন শহরে একটি
ভারতীয় ভিতে গড়ে ওঠা বাঙালি স্বত্তার পরিবার যেখানে প্রতি সময়ের ওঠাপরায় একটি
লন্ডনীয় স্বভাবের গন্ধ ছবির সাথে আপ্রাণ সম্পর্ক গড়ে তোলে শেষ শট পর্যন্ত.
৭.
স্ত্রীর আকস্মিক মৃত্যুতে সঞ্জয়ের(গিরিশ কারনাড) সাথে তার তিন মেয়ের
সম্পর্ক গুলো কেমন যেন একটা ধুসর প্রক্সির মত কানে এসে বাজে.খামে বন্ধ করা মুহূর্ত
গুলো মঞ্জুর(সঞ্জয়ের স্ত্রী, শর্মিলা
ঠাকুর) মৃত্যুর পর unexpected
পরিস্থিতির অজুহাত গুলোকে অস্পৃশ্য করে
যখন কালকেউটের মত বেড়িয়ে আসে সে সময় সমপর্কেরা বিচ্ছেদের হাত ধরে পালাবার পথ
খোঁজে.
৮.
স্মৃতিভাড়ে মেউলের ভিড়ে জমে থাকা সঞ্জয়ের মন, কায়িতাত হারানোর ক্লেশে প্রতীকি শক্তির
খোঁজে প্রতিটি সময়ে তাঁর তিন মেয়ের সাথে সম্পর্কের জট্ধরা ছালের খোলসগুলোকে ধীরে
ধীরে বিবস্র করার অন্তহীন প্রচেষ্টা চালায়. এসব চলতে থাকা দিনেদের ভাঁজে সঞ্জয় নতুন নতুন কিছু ইলিয়াত সম্পর্ক
নিজের অস্তিত্বের জালে জড়ো করে ফেলে. সঞ্জয় এরপর তাঁর সবচেয়ে ছোট এবং কনিষ্ট মেয়ে দিয়ার(সোহা আলী খান) সঙ্গে
ইমতিয়াজ(Rez
Kempton) নামের একটি
মুসলিম ছেলের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে ক্রমশ একটি মানসিক অভাবের মধে নিজেকে
ডুবিয়ে ফেলে. ভ্রান্ত এবং উগ্র অবস্থায় সঞ্জয় বাড়ি ছেড়ে লন্ডনের রাস্তায়
রাস্তায় হাতড়ে বেড়ায় ফিরে পেতে চাওয়া relations গুলো.
৯.
হটাত একটি উত্সবের অনজান মুহুর্তে সঞ্জয় তাঁর প্রাক্তন স্মৃতিগুলোকে
সঞ্চারিত করে তোলে,
তাঁর শৈশবের সময়কার পূর্ব বাংলা আর
পশ্চিমের অসহনীয় কিছু ক্ষণিক যার ফলস্বরূপ তাঁর বাবা-মাকে ঘর বাড়ি ছেড়ে চলে
আসতে হয় এখানে,
সেদিনের লন্ডনে. শেষ পর্যন্ত সঞ্জয়ের
মুসলিম জাতির প্রতি অমার্জিত এবং আলেখ্য প্রতিহিংসা গুলো ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে
ওঠে.....in
the larger context of the country in the grips of Islam-phobia as the
events of 7/7 and the consequences of the Iraq was reverberate. As he
sits drenched and tired on a bench on Hampstead Heath and watches the sunrise
Sanjay Puts his demons to rest. at the funeral he has come to terms
with himself, he allows the Muslim boy to join the family rituals and
see his daughters for what they are and not what he expected them to
be. The shadow of Shakespeare's "King Lear" bears on this
contemporary and free adaptation. It works functionally as a sub-text in
the film as we see sanjay and Dia within the contours of mythical 'Lear'
& 'Cordelia'.
১০.
আলোকের(ওম পুরি )
অনবদ্য ও সঠিক উপস্থিতি গুলো সঞ্জয়ের পরিবারের
ঝলসানো সম্পর্কগুলোকে যেন প্রতি মুহুর্তে সজীব করে তুলত. বড় মেয়ে
ললিতার(মুকুলিকা ব্যানার্জী) জীবনের অসমবয়সী বৈবাহিক সম্পর্কের টানাপড়েনের বর্বরতাগুলোকে মঞ্জু যেমন
অনায়াস ভঙ্গিমায় সমাধানের পথের ঠিকানা লিখে দিত, সঞ্জয় মেয়ের সেই একাকিত্বের
যন্ত্রনাগুলোর পাসে না দাড়াতে পেরে বড় বেশি অসহায় বোধ করে. নাতনির পুতুল খেলার
সাথীর নামগুলো নির্ধারণ করা সময় সঞ্জয়ের মুসলিম prejudice আরও একবার মাথা চড়া দিয়ে ওঠে, শেষমেষ পুতুল 'ফাতিমা' তার নাম ধারণে সখ্যম হয় ললিতার প্রতিবাদ
আর নাতনির অম্লান সরলতায়.
মানবিক অসহায়তার মধ্যে বয়সের সীমাহিনতাকে অতিক্রম করে শারীরিক চাহিদা
অবশেষে জন (Christopher Hatherall)
এবং ললিতাকে একটি প্রাণে একটি দাম্পত্যে
পরিণত করে.
১১.
সঞ্জয় ও মঞ্জুর দ্বিতীয় মেয়ে তুলির (নীরজ নায়েক)খানিক জেদী ও
উচ্চাখাংকি স্বভাব ছবির তেজালো মুহূর্তগুলোকে বেশখানিক রঙিন করে তোলে. এর পাশাপাশি
তুলির সমকামী সম্পর্কটিও বেশ হাতে আঁকা ছবির মতই উজ্জল ও স্পষ্ট, যেখানে কোনো উটকো ন্যাকামি ছাড়াই আর
পাঁচটা স্বাভাবিক সম্পর্কের মতো এই প্রেমও বেশ দৃষ্টিমধুর.
১২.
অবশেষ আজ এখানেই টানবো, তবু যে ছবিটির গল্প এবার শোনালাম অন্তত এ কথাটুকু
বেশ জোর দিয়ে বলে দিতে পারি যে এ ছবির মধ্যে সঙ্গীতা কোনো হাত্যকারিতা করেনি, ও চেষ্টা করেছে ছবিটিকে যেন পরিপূর্ণ রূপে
শিল্পী স্বত্তার দোসর হয়ে ওঠে আর এ যাত্রায়
সঙ্গীতা সেই মেদুরতায়
সফল. জীবনের আস্তিন থেকে কোনো নাম যদি
মুছে যায় তবে তো জীবনের রথ কোনো ভাবেই থেমে থাকেনা, ঠিক সেরকম একটি সরল বার্তা সঙ্গীতা আমাদের
কাছে পৌছে দিতে চেয়েছে 'Life
Goes On' ছবিটির
উপহারে. ছবির প্রতিটি দৃশ্য সেতারের সুরের মতো জিল্কোষ হে উঠেছে Robert Shacklady এর ক্যামেরার লেন্সে. Rosie Kar এর রূপসজ্জা, Namratha Jani এর পোশাক ভাবনা ও Arghakamal Mitra এর প্রানবন্ত সম্পাদনায় ছবিটির প্রতিটি
কাট অসম্ভবভাবে জলজ স্পর্শ পেয়েছে.
১৩.
শেষ ঠিকানায় আসি ছবির সুরের কথায় ও ভাবনায়, এক্ষেত্রে Javed Akhtar (He is
the lyricist of 'Life Goes On'. For the first time in film music
history songs have been translated in Hindi to the original tunes written by
Tagore. Akhtar also written the lyric for an original composition by
Soumik Dutta.) and Soumik Dutta(Soumik is a core member of
the popular jazz band named 'Samay'. He also learns composition from
Trinity College of Music. The music of 'Life goes on' is creating
an amazing buzz as it reflects the sound scope of
contemporary London. Young composer Soumik has drawn from classical, orchestra,
jazz and
blues, bangle folk, Turkish strains, French rap
to classical poetry of Tagore and Rumi to create a reach and vibrant
soundtrack. May be it’s also a great pleasure to make
some heartily composition for mother.) জুটি একটি অশ্রান্ত মোহনার হদিশ দেয়
রবীন্দ্রনাথকে সঙ্গে নিয়ে. ক্ষমা
করে দেবেন সমালোচকগন এখন মনে হচ্ছে হয়তো একটু বেশিই প্রশংসা করে ফেললাম ৪০ জন crew মেম্বার নিয়ে সঙ্গীতার প্রথম হাতে গড়া
ছবিটার. তা কাটাছেড়ার কাজটা যখন আপনারাই করবেন তখন একজন সাধরণ mango people হিসেবে আমি নাহয় অর প্রথম কাজটার ইকটু
জামাটি প্রসন্গাহা করেই sign
করলাম. Wait করছি সঙ্গীতা আসা করছি তোর 'The Economics of
happiness' ও খুব
তাড়াতাড়িই দেখতে পাব...অনেক অনেক সুভেচ্ছা রইলো তোর আগামী কাজগুলোর জন্যে আমার
আর দলছুটের পক্ষ্য থেকে....ভালো থাকিস...
ইতি #TANMOY?.....
Comments
Post a Comment