দমদম টু সিঁথির মোড় | সূর্যস্নাত






যারা জঙ্ঘম, নিজস্ব আবর্তন অথবা পরিক্রমণ বেগের জন্য তারা অন্যান্য গতিশীল বস্তুর গতিশীলতা অনুভব করতে পারেন না। মনে হয় কোথাও গিয়ে সেই আপেক্ষিক গতি শূন্য হয়ে এসেছে। লাগাতার হেরে যাওয়া জুয়াড়িকে যিনি জ্যোতিষ্মান করেন, তিনি এই শূন্যতা। এই একই কথা আমাদের পৃথিবীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

‘পৃথিবী’ শব্দটুকু সিঁথির মোড় থেকে একবার দমদম অব্দি বিস্তৃত। আরেকবার দমদম থেকে সিঁথির মোড় পর্যন্ত। পৃথিবী হল একটি ঘুরে বেড়াবার জায়গা; যা সংক্ষেপে একবার পুরোপুরি প্রদক্ষিণ করতে মোটামুটি ১০+১০=২০ মিনিট লাগে। এই প্রদক্ষিণ হয় জনা আষ্টেক মানুষকে সঙ্গে করে। খরচ ছাপ্পান্ন টাকা। যিনি মৃদু হেসে বলেন, ‘কোথাও কোনো ছত্রধারী নেই, কোথাও কোনো সাদা উর্দি নেই’; তিনি চাঁদ। পক্ষান্তরে যেসব গ্রহে মৃত্যু আছে, তারাও প্রকৃতপক্ষে নিজেদের পৃথিবী বলে দাবি করতে পারেন। কিন্তু বিপদের আশঙ্কা বলতে মাঝেসাঝে জ্বালানিভাণ্ডার শেষ হয়ে আসে। দুপ করে থেমে যায় পৃথিবীর ঘূর্ণন। আর তক্ষুনি পৃথিবীর চারপাশের অন্যান্য বস্তুসমূহ, যাদের এতকাল যাবৎ স্থির বলে মনে হচ্ছিল, তাদের গতিশীলতা টের পাওয়া যায় সহজেই।


আমি হারাধন সাঁপুইকে চিনি। পেশায় অটোচালক। সিঁথির মোড় থেকে দমদম অব্দি ওনার রুট। বিগত কুড়ি বছর ধরে এ লাইনে আছেন। মেয়ে যে কখন বড় হয়ে গেছে, বুঝতেই পারেন নি।

Comments

  1. খুুব সুুন্দর লেেখা। বনফুুল অনেেকটাা এরকম লিখতেন। :)

    ReplyDelete
  2. :) এটা বলে বনফুলকে ছোটো করলে..

    ReplyDelete

Post a Comment