২১ শে - কবিতা সংখ্যা - পর্ব ১০




মোহ(কবিতা)



|প্রজন্ম – সৌমাভ

বারবার বলছো "দাঁড়িয়ে থাকো " কখনো বলছো "চুপ করো "

অথচ ওড়নাটা পিছলে পিছলে যাচ্ছে একবারও হাত ধরোনি

ভিজে উঠেছে রোদবাহুল্য পেশির আদলে তৈরি মানুষ

এদিক প্রতিবার আমি আটকে পড়ছি একবারও হাত ধরিনি
দাঁড়িয়ে থাকো, পিছলে যাচ্ছে, রোদবাহুল্য, আটকে পড়ছি
এই জায়গাগুলোতে লাইন ভাঙা হবে।

মানে স্তবকভেদ। কোনো যতিচিহ্ন থাকছে না।|





|তিনটি কবিতা - অয়ন ঘোষ
চাকা
একটা বাড়ি,
চৌতিরিশটা ঘর
সবাই আপন,
বাস্তবে সব পর
দরিদ্র গান চলতে থাকে কলে শব্দদূষণ নেই বললেই চলে।

এদেশি,
সেদেশি কতরকমের মাল বিকিয়ে শরীর মুঠো করে আনে চাল
এমন করেই রাস্তার মোড়ে-মোড়ে চক্রাকারে মধুর চাকা ঘোরে।


অভিশাপ
ঠিক যতটা চোখের পর চোখ রাখা ছিল ততটা বসন্ত,
ততোধিক পুষ্প। এরপরে প্রেমের
মতো তীক্ষ্ম শব্দগুলো
মুহূর্তে গূঢ় হয়ে যায় অভিশাপের মতো।

জন্মদিন
ঢেউ খেলিয়ে সেভিং ক্রিম-
ফুল ফোটাবো জন্মদিনের।
একজোড়া লাল টকটকে ফুল
জড়িয়ে ধরলে খয়েরি খোপা
কষ্ট হবে অপার্থিবের।
এখন ক'টা ?
মাত্র ছ'টা..
ফুল ফুটতে দেরী আছে।|





|হোয়াদ্দা ফাক্‌  -  সুভান

১.
গুমোট পি.জির রুম থেকে বিছানায় মিশে যেতে যেতে সিগারেট চেপে ধরা বুকের ভাঁজ
ভিজে ওঠা জিন্সের চেইন চেটে খা মাগি, প্যাকেট ছাড়িয়ে রাখা গোলাপি সাহসে চুমু ঘষ। 
পিঠ বরাবর ছায়া ধরে নেমে আয় , কালো চামড়া পোড়া... 

২.
হাত ধর। আঙুল নখ । কালো নেইল পলিস । হাত যাচ্ছে না । তবু ছুঁই।
নিচু হ। দেখি । নিচু হ, মুখে টেনে ধর । এই শেষ বার। কাল প্রেমিকের ঘরে ছুটে যাস।

৩.
পালাতেই হবে চলো। এখনই কোথাও। দুই দিন তিন রাত শোবো আমরা। তারপর ধরা পরবো ।
পুলিশ – পুলিশ ।  তোমার স্বামীও শাসাবে আমাকে। তারপর একদিন বিষে মুখ রেখেছি আমি
তুমি রেখেছ? কি জানি...

৪.
জঙ্গল ঘেরা পার্ক। বাইক থেকে নেমে একটু দূর। ওই তো ভালো গাছের আড়াল। এখানেই হ্যাঁ এখানেই
কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকা যায়। আরেকটু আগে নদী চর। নোনাস্নান সেরে ডুবে আসা যায়|





|অবিক্রিত – নুরুল হাসান
মেয়েটি খোয়া গেল ,
ঠিক উতরে যাওয়ার মুখেই।

কোনোভাবেই কেউ
কুল কিনারা পেল না কোনও।

পাগলা বুড়োটা আর্কিমিডিসের মতো নেচে উঠল,
আমি জানি... আমি জানি...

একটা সাঁকোর নীচে ঝুঁকে সে বিড়বিড় করল ...

অঙ্ক একটা বিষয়,
জীবন নয় !

প্রতিধ্বনি জন্মাল ।

তবে তা ছুটে বেড়িয়েও ,
খদ্দের খুঁজে পেল না কোনো।|





|পলি-ট্রিক্স - আকাশ দত্ত

নিভে যাওয়া নিয়ে ভাবে না সেও
যে আলোর বিরোধী, এমন কি
'জন্মিলে মরিতে হইবে' জাতীয় প্রবাদ
প্রবচনটাও
অন্ধকারের সাথেই তার
জন্মোত্তর যাপন, কাঙ্খিত গার্হস্থ্য
তা বলে এমনটা ধরে নেওয়ার কোন কারণ নেই
আলোর প্রগল্ভতা অস্তমিত,
বনেদী সৌকর্যের খসে পড়া চুনকাম
আসলে হ্যারিকেন জ্বালিয়ে রাখা বা
আঁধারবিদ্রোহের অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘট-
এক ধরণের দলীয় শাসন যা
লক্ষ্য স্থির রাখার জন্য করতেই হয়
|

Comments