মোহ ১০




মোহ(কবিতা)
প্রাগৈতিহাসিক
ইন্দ্রনীল ঘোষ

পৃথিবীটা খুলে যাচ্ছিল বলে
        আমি ছুটির ফিতে বেঁধে দিলাম...
পৃথিবীর ফোঁকড় দিয়ে, লোকটা দেখল আলোর হিজিবিজি

পেন্সিলের শেড থেকে জল পড়ছে
এই সেই নদীটার ছবি...

এখানেই পতাকা উড়ত রোজ
এখানেই বাড়িগুলো ফিরত
যখন সন্ধেবেলা, সব রাস্তা ইতিহাস বইয়ের বিষয়





লজ্জাবতী  
নীলাঞ্জন সাহা

লজ্জাবতী, তোমাকে দেখলে জীবনের প্রথম কেনা
জাঙ্গিয়াটির কথা মনে পড়ে!
নিজেই কাচতাম, রোদ্দুরে না মেলে
শুকিয়ে নিতাম ফ্যানের হাওয়ায়
স্বপ্নদোষের গোপন সাক্ষী তবু কিভাবে যেন
ধরা পড়ে গিয়েছিলাম মায়ের চোখে
তারপর দু পুরিয়া হোমিওপ্যাথিতে
দোষ কাটলেও গুণ কিছুই অর্জন
করতে পারি নি, কোমর ঢিলে হ'য়ে গেলে
সেটা দিয়ে ঘর মুছেছিলো যুবতী কাজের মেয়ে
সেইসব স্মৃতি, লজ্জাবতী, তুমি আমাকে
স্বপ্নদোষ সমেত ফিরিয়ে দিচ্ছো






কুটি কুটি চোখ
বেনেথিয়াম রৌদ্র
এক.
যেভাবে ভাবা হয়
সেভাবে ঠিকঠাক কাজ হয় না ।
 #
কে যেন ভিতরে ছেলে খেলা করে
দুই,
মুনিয়া মুনিয়া বলে ডাকলেই যে
 মুনিয়া শুনবে-
এমন কোনও মানে নেই ।
তার হাজারো প্রেমিক...
তিন,
তোমার চোখের বিন্দুটাই
কলমের দাগ কাটছে
#
নীল রঙে
চার,
দু'দিনের প্রেমিক
হাজার বছরের সম্পদ
#
এক দিনের প্রেমিকা
হাজার কবিতা ।







দীপ্ত প্রসাদ সিংহ
******
গাছকে জড়িয়ে ধরলো রঙীন ওড়াওড়ি
এ-সূত্রে ডালপালায় আকাশ ছড়ালো না

সূতোয় টান পড়লো কোথাও
আর আঙুল চুঁইয়ে এলো সেইসব
গলা মোম

আর সুতো বরাবর হেঁটে দেখলাম
একটা লাটাই এখনো ঝুরি নামায়
আমার ভেতরে





ফলবিক্রেতা
তানিয়া চক্রবর্তী

ও আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল
রগে হাত --- হাতে স্লাইস
ওর ভ্রু দিয়ে ঘেমো স্বপ্ন নামছিল
ওর স্বপ্নে একটা ডানা দিলাম
দুদিন পর আরো একটা
এবার ও চঞ্চু চাইছে
এখন রগে হাত দেয় না
চঞ্চু দিয়ে রক্ত বার করে
ওর সমস্ত পলিথিনের ফল টক
ফলবিক্রেতার চোখে ওকে চোখ রাখতে বলেছিলাম---

Comments

Post a Comment