মোহ ৫




মোহ (কবিতা)

সূচীপত্রঃ
( লেখাটিতে পৌঁছতে সূচীপত্রে ক্লিক করুন )


click me
স্টেশন
ইন্দ্রনীল ঘোষ

ফাঁকা ডাকনামে ট্রেন এসে দাঁড়ালো
যেন ছোট্ট স্টেশন
একটা আলো জ্বলছে
      তাতেই আঁজলা করে জল খায় মেয়েটা...
সামান্য আঙুলে ভেজা সামান্য পৃথিবীর ইতিহাস

ইতিহাসের ফিসপ্লেটে কান দিয়ে
আমরা চাকার শব্দ শুনি

মেয়েটা যেন জল খেতেই এসছিল
মেয়েটা যেন তেষ্টা পেরিয়ে লোডশেডিং হবে

click me
শ্লোক
রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায়
বুকের মধ্যে যখন কাঁপছিস দুরি তিরি
তখন মনে বলে পাখি, পাখিই
ড্রয়িংখাতায় উড়িয়ে দিতাম
অথবা, এতটাই দুর্বল তুই পাখি নস
প্রজাপতির মত এসে পড়েছিস
আমার ঘরে, দেওয়ালে আঁকা জঙ্গল
তুই না বসে সমস্তটাই উড়বি
তুই না উড়ে সমস্তটাই বসবি
ভেবে ভেবে প্যালেটে রং গুলছিস
পায়ে করে নিয়ে যাচ্ছিস
শাদা কালো গাছগুলো রঙিন হয়ে উঠছে
দৃশ্যত এই পাপ অসহ্য হচ্ছে আমার
ক্ষমা ফিরি করে যারা তাদের কাছে
তোকে বন্ধক রাখতে চাইছি
অথচ, তাদের চোখ পুড়ে যাচ্ছে আলোয়
প্রক্ষালন করার কোন সুযোগ পাচ্ছি না আমি
শুধু জঙ্গলের চেয়েও বেড়ে উঠছি
এক বর্ণময় জঙ্গল
গভীরে তুই পাখসাট ভাসিয়ে দিচ্ছিস
click me
ক্যান্সার
সুব্রত সান্যাল
পাঁচ মিলিমিটারের হেরফের বদলে দিচ্ছে চা আর পাঁউরুটির অবস্থান
ভরপেট ধোঁয়া অথবা টিফিনের পর সুখটান
কোনটা কিনবে ? 

click me


একটি কবিতা
সঞ্জয় ঋষি

মাটিতে ঘুরতে ঘুরতে পাখিটি
বৃত্ত এঁকে উড়ে গেল...
উড়ে যাবার পর

মানুষ ও পাখির ঠিকানা থাকে না ।

click me

চেয়ার মোছো
প্রত্যুষ বন্দ্যোপাধ্যায়

পাগল হওয়ার মতন করে
পালিয়ে যেতে চাইছি
হয়তো কাছেই রূপসা নদী
এবং তীরে বৈঠা
সাঁতরাবো কি ডুব দেব কি
ভাবতে ভাবতে গামছা
ফাঁকা কলসি বাজতে বাজতে
এগিয়ে গেলো সামনে।

অন্তত এই ল্যাজেগোবর
অবস্থাটা পাল্টাক
দাঁত ক্যালানো চতুর্মুখে
রাংতা রোদে ঝিল্‌কি
আজ বুনেছি কাল কাটবো
সুদআসলে মস্তি
কালি এলো কলম এলো
কাগজ শুধুই নুন চায়।

নুন না এলে গুণ না এলে
পান্তা ভাতে টাক্‌না
বারুদ মরা কাঠি কেবল
মধ্যরাতে ঠোকরায়
ছাই ফেলেছি কুলোও ভাঙা
কুলো মানেই চক্কর
বিষ ঝাড়বে এক পা পাজী
কাজির ঘরের আয়না।

বায়না করার আগে এবার
একটুখানি থমকে
পিছন ফিরে দেখলে পারো
বাঁশ কতোটা ঢুকলো
গড়গড়িয়ে ট্রেন আসবে
গলা যখন পাতলা
আপাতত মাচায় উঠে
চেয়ার মোছো খ্যামটা ।।

| সম্পাদনাঃ পায়েল নন্দী |

Comments