ডiary : গালুডিঃ মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায়

|

DIARY
AUTHOR
|গুড্ডুর নাম কে গুড্ডু দিয়েছিল কে জানে। যার জীবনে কোন good do  নেই। শরৎচন্দ্র বেঁচে থাকলে চরিত্রহীন ২ লিখতেন ওকে নিয়ে। আমি তাই হেব্বি খুশি হয়েছিলাম, ওর ব্রেকাপের কেচাপ শুনে। মেয়েটা যে আশির্বাদ করেছিলাম মনে মনে। কত মেয়ের হয়ে যে প্রতিশোধ নিয়েছে। আহা ল্যাং মারে তো এয়সা। কিন্তু দাদাদের বরাবরই ভাইয়ের অনুশোচনার সময় পেগ বানাতে হয়। আমিও তাই করছি তখন। ওকে অনেক ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু ওর চাহিদার শূন্যস্থান মেটাতে আমরা শারীরিক ভাবে অক্ষম। বেবোধ তাও চুমু টুমু খেয়ে চেষ্টা করেছিল। নেশার তীব্রতা কেটে গেলে দেখল চুল লেগে ঠোঁটে। অবশ্যই মাথার। আমরা যখন ব্যর্থ। গুড্ডুই আত্মসমীক্ষণ করে জানাল, আউটিং। খুব কাজ দেয় এই সময়। ব্যথা ধুয়ে যায়। ট্রেনে নতুন মেয়ের সাথে প্রেম হবার সম্ভাবনা থাকে। বা হোটেলে। খুঁজে পেতে কি জায়গাই না বের করল। গালুধি। ট্রেনের টিকিটে তার সর্ট ফর্ম GUD। বুঝলাম গুড্ডুর স্থান নির্বাচন মোক্ষম। আমাকে বোঝাল পনেরো বছর আগে, ও বাবা মা গিয়েছিল। কুল কুল করে বয়ে যাচ্ছে সুবর্ণ রেখা। ১০ টাকা হোটেল ভাড়া। আর খাওয়া দাওয়া – আহা দুদিনে আমি বাপ্পি লাহিরি হয়ে যাব। কে কে যাবে। আমি ও সৌরভ ( যেতেও পারে নাও পারে), তন্ময় ( সিওর নয়)। আমি বললাম আমার একটা কেলানে মার্কা বন্ধু আছে নিবি? ওর বাড়ি সুন্দরবন। তাহালে পরের ট্রিপ ওখানে। গুড্ডু কনভিনস্‌ড। যাই হোক ট্রেনের টিকিট কাটা হ’ল। শুধু তন্ময়ের সাথে একটা চরম সেক্সি মেয়ে যাচ্ছে। আমি তন্ময়ের কাছে প্রোফাইল দেখতে চাইলাম। গুড্ডুকে লিংকটা দিলাম। গুড্ডুর পরের চ্যাট। মৃগাঙ্ক দা, আমি এর প্রেমে পড়ে গেছি। আমি সারাদিন GATE – এর পড়া পড়ব আর পার্শী শিখব। উফ আমার কত কাজ গো মৃগাঙ্ক দা। সৌরভ আমাকে অনেকবার করে বলল, বেচারাকে মিথ্যে আশা দিস না। কিন্তু কিছু করার নেই। তন্ময়ের সঙ্গীর প্রকৃত পরিচয় জানালে, গুড্ডু হার্গিস যাবে না। সেই প্রথম মানুষ, তখনও পর্যন্ত আমাদের জানা, যে ওর শ্রীলতাহানি করেছে। গুড্ডুর ভাষায় মলেস্ট। আপনাদেরও পরেই বলব। হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে। 

আগের দিন রাতে পৌঁছেছি গুড্ডুর বাড়ি। তার আগে সবাইকে বলতে ভুলে গেছি বাবা ফোন করলে যেন রিসিভ না করে। বাড়ি থেকে জানে আমি তটিনীদির বাড়ি আসছি। তারপর ওখান থেকে গুড্ডুর বাড়ি পৌঁছে জানাব, GATE পড়তে এসেছি। তার আগে আমার আই কার্ড লাগবে। ট্রেনে আইডি প্রুফ দেখানোর জন্য। কলেজ আই কার্ড নিতে হবে। বাবাকে বললাম, তন্ময়কে দিতে হবে ও ফেস্টিভেলে পাঠাবে। আইডি প্রুফ। আমি ওর সাথে আগরপাড়া স্টেশনে মিট করে নেব। সে কথাটা তন্ময়কেও জানানো উচিৎ ছিল। ভুলে গেছি। তটিনী দির বাড়িতে থাকতেই ওর ফোন এল। বাবা ওকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেছে, আমার সাথে ও কোথায় মিট করবে, তাতে ও বলেছে কাল ভোরে শিয়ালদা স্টেশনে। বাবা অবাক হয়ে জানতে চেয়েছে, সেকি ওতো সকালে, তোমরা কি কোথাও যাচ্ছ। তারপর থেকে বাবা ফোন করলেই শুনতে পাচ্ছে , আপনি যাকে কল করছেন তিনি এখন ব্যাস্ত আছেন। বাবার ধারণা ঝাড়খণ্ড মানেই মাওবাদী। এবং তার বিশ্বখ্যাত পুত্রকে পেলেই তারা অপহরণ করবে। সুতরাং একদম পৌঁছে জানাতে হবে, বাবা মাওবাদীরা বৌদ্ধিস্ট হয়ে গেছে। বন্দুকের বদলে তারা পদ্ম ফুল হাতে নিয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে। | |

Comments