সুইচ অন - ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী





দূর হতে দেখছি রাজার সেই প্রাসাদ। এতটা পথ আসা তাহলে বিপথে যায়নি। মনে মনে একটু আনন্দিত হইলাম। অবশেষে সেই রাজবাড়ি, যা আমার ছোটবেলার থেকে কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন ছিল, প্রতিহিংসার আগুন ধিকধিক করে আজও বুকের মধ্যে জ্বলছে। আমার ডান দিকে অন্ধকার আকাশ রেখে ক্রমশ এগিয়ে যেতে লাগলাম প্রাসাদের দিকে। আমার শরীরের সমস্ত হূন রক্ত ঢেউয়ের মত বেড়িয়ে আসতে চাইছে। ঘোড়ার উপরে আরও জোরে চাবুক চালালাম। আমার পিছনে আমার আরও দুই মিত্র রয়েছে। রাজবাড়ির কাছাকাছি এলে কথাও একটা আশ্রয় নেবার ব্যবস্থা করতে হবে। এই পোশাকে সবাই আমায় চিনে ফেলবে। দুইদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকতে হবে তারপর কুমার তোমায় বাঁচায় কে? এই চিত্রকের হাতের অসির আঘাতে তোমার ভবলীলা সাঙ্গ হবে। আর দেরি নয়, আরও জোরে আরও জোরে এগিয়ে চলেছি আমি।............

একি! একি হল! ডান দিকের আকাশে নিমেষের মধ্যে পরিবর্তন হয়ে গেল। এই সব কি! আমার ও আমার মিত্রদের ঘোড়ারা নিমেষের থেমে গিয়ে চীৎকার করে উঠল। তাকিয়ে দেখি ডান দিকের আকাশের এক বিশাল ঘর, অদ্ভুত সব জিনিস ঘরের মধ্যে, অদ্ভুত সব যন্ত্র ঘরের মধ্যে। একটি জিনিসও বুঝতে পারছিনা। একি হল!একটি বসবার মত জায়গায় যা আগে ক্ষণ দেখিনি সেখানে এক দৈত্য-কায় মানুষ অদ্ভুত সব পোশাক পরে বসে আছে। এক হাতে তার একটি পাত্র অন্য হাতে একটি বিচিত্র যন্ত্র।

সে সটান আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। ওই দিকে মন দেবার সময় নেই। সেই যেই হয় তুমি দৈত্য তোমার সাথে আমার কোনও বিবাদ নেই। আমাকে সামনের দিকে যেতে হবে ওই রাজবাড়ির দিকে। ঘোড়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সজোরে আঘাত করলাম।

Comments