Diary : আদর আর আমি : অভীক দত্ত





DIARY
AUTHOR

আদর আর আমি - অভীক দত্ত
০৯.০৬.১৪ 


 এসব ব্যাপার মনে করা খুবই কঠিন হয়। কি, কবে, কেন ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার কিন্তু স্পষ্ট মনে আছে। আমাদের অরকুট পেজের ডিটেলস দেবার সময় লিখেওছিলাম। ডেটা স্ট্রাকচার ল্যাবে আমি রঙ্গিতকে যখন বললাম ম্যাগ করার কথা, ও লাফিয়ে উঠেছিল। তারপর ব্যাপারটা পরিকল্পনা স্তরে আটকে থাকে নি। আমার আসলে কোন কিছুই পরিকল্পনা স্তরে আটকে রাখা পছন্দ নয়। ভাবা যদি হয়ে থাকে, তাহলে যেন তেন প্রকারেণ সেটাকে বাস্তবায়িত করতেই হবে এটাই আমি বিশ্বাস করি। এখনও। এরফলে ঝাড় খেয়েছি, কোন কোন কাজ আধাখ্যাচড়া হয়েছে, হোঁচট খেয়েছি, গালাগাল খেয়েছি, আঘাত পেয়েছি, বিশ্বাসভঙ্গ হয়েছে। তবে দিনের শেষে দেখেছি, খুব একটা খারাপ লাগে না। জীবনটা আসলে কোন একটা মুহূর্তে থেমে থাকে না তো! তাই সাফল্য ব্যর্থতাও ভীষণ আপেক্ষিক। সাফল্য বলে কিছু নেই, ব্যর্থতা তো নেইই। রাগ, অভিমান তাই সময়ের সাথে সাথে ইরেজারে মুছে যায় এক জায়গায় এসে। এই লেখাটা লেখার ক্ষেত্রে তাই বলতেই পারি কারও প্রতি কোন রাগ নেই আমার। বরং সবাই আমাকে যে শিক্ষা দিয়েছেন, তা আমার উপকারেই লেগেছে বলে আমি মনে করি। এই সেরেছে, ধান ভানতে শিবের গীত হয়ে যাচ্ছে। যেটা বলছিলাম, প্রথম সংখ্যাটা হয়েছিল এক ফর্মার। ১৬ পাতার। তাও কি চাপ! পাতা ভরাটই হয় না। আমি নিজেই বেনামে যে কত লেখা লিখেছিলাম তা আর মনে নেই এখন। এখন যেমন একটা সংখ্যা বের করব বললে প্রচুর লেখা আমাদের ইনবক্সে জমে যেত তখন ব্যাপারটা অত সহজ ছিল না। একে আমি মফস্বলের ছেলে। এইসব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং খায় না মাথায় দেয় বুঝতাম না। অরকুট করতাম। কিন্তু ভাবতাম ওটা খালি গার্লফ্রেন্ড বানাবার সহজ উপায়। তার ফলে যেটা হবার ছিল তাই হল। নেহাত “অহর্নিশে”র দাদারা সাহায্য করেছিল তাই। একটা মুদ্রণ পত্রিকা কিংবা বই প্রকাশ করা যে কি ভয়ঙ্কর ব্যাপার তখন গিয়ে জানতে পারলাম। প্রুফ দেখা...পৃথিবীর সব থেকে বোরিং কাজগুলির একটা। আবার প্রুফ দেখতে ভুল হলে তো চিত্তির। পুরো ব্যাপারটাই কেঁচে গণ্ডূষ করতে হবে। মনে আছে প্রথম সংখ্যা বেরনোর পর ঐ নীল মলাটের বইটা কতবার যে পড়েছিলাম। পড়েই চলেছি। এক লেখা বারবার। সেই প্রথম আদরের প্রেমে পড়া। তারপর আটবছর ঘর করা হয়ে গেল। প্রেম তো কমেই নি, বরং যত দিন যাচ্ছে, আরও জমে যাচ্ছে ব্যাপারটা/

Comments